ফকির শহিদুল ইসলাম(খুলনা): মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ফসলি জমিতে চিংড়ি চাষ থেকে বিরত থাকতে হবে। একটি জোন নির্ধারণ করে চিংড়ি চাষ করা যেতে পারে। যেখানে ফসল হয়না সেখানে চিংড়ি চাষ করতে হবে এবং বিভিন্ন চরেও এর চাষ করা যেতে পারে।
রবিবার (৪ মার্চ)খুলনা শ্রিম্প টাওয়ার মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশন (বিএফএফইএ) আয়োজিত সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ছয় লাখ মেট্রিক টন। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন বেশি। দেশের মৎস্য সেক্টরের উন্নয়নে সরকার ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে চিংড়িসহ সকল মাছের উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে মাছ চাষ করলে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিএফএফইএ) খুলনা অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সেখ আব্দুল বাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান, মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণের উপ-পরিচালক প্রফুল্ল কুমার সরকার, প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু। স্বাগত বক্তৃতা করেন বিএফএফইএর সিনিয়ন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কাজী বেলায়েত হোসেন। এ সময় বিভিন্ন মৎস্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক, নির্বাহী পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও বিএফএফইএ’র বর্তমান ও সাবেক পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন।