শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

ঢাকায় ALTERNATIVE FEED ADDITIVES ‘PRONUTRIENT’ শীর্ষক সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সময় মানুষ শুধু খাদ্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করতো। কালক্রমে খাদ্য নিরাপত্তা আমাদের দেশে অনেকটা নিশ্চিত হলেও নতুন করে ভাবনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে নিরাপদ খাদ্য বিষয়টি। আর নিরাপদ খাদ্য তখনই নিশ্চিত হবে যখন নিরাপদ কাঁচামাল ব্যবহার করা হবে।

মানুষের পুষ্টি চাহিদার অন্যতম উৎস প্রোটিন। বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টি প্রোটিন চাহিদার অন্যতম নিয়ামক পোলট্রি বা মুরগি। কিন্তু পুষ্টি প্রোটিন যদি নিরাপদ না হয় তবে সেটি মানুষের জন্য ভয়ানক বিপদ ডেকে আনতে পারে। নিরাপদ পোলট্রি মাংস ও ডিম উৎপাদন করতে হলে প্রয়োজনীয় ফিড নিরাপদ হতে হবে। আর নিরাপদ ফিড তৈরির জন্য ফিড এডিটিভস নিরাপদ হওয়া জরুরি।

সামগ্রিক বিষয়টিকে সামনে রেখে দেশের এনিমেল হেলথ সেক্টরে স্বনামধন্য কোম্পানি ডক্টরস এগ্রোভেট এবং স্পেনের বিশ্বখ্যাত কোম্পানি Biovet, S.A যৌথভাবে ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) ALTERNATIVE FEED ADDITIVES ‘PRONUTRIENT’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে।

সন্ধ্যা ৭টায় হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে সেমিনারের শুভ সূচনা করেন। এরপর অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডক্টরস এগ্রোভেট -এর পরিচালক ডা. তুষার চৌধুরি।

ডা. তুষার চৌধুরি বলেন, খাদ্য উৎপাদন করা হয় মূলত মানুষের জন্য। খাদ্য যদি নিরাপদ না হয় তবে আমাদের পরিবারও নিরাপদ নয়। নিরাপদ পুষ্টি প্রোটিন নিশ্চিত করতে হলে পোলট্রি ফিড নিরাপদ হওয়ার বিকল্প নেই। তাই আমরা স্পেনের বিশ্বখ্যাত Biovet, S.A কোম্পানির ফিড এডিটিভস বাংলাদেশে নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা করি। Biovet, S.A উৎপাদিত ফিড এডিটিভস প্রাকৃতিক হওয়ায় এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। আশা করি, দেশের ফিড উৎপাদকগণ বিচার বিশ্লেষণপূর্বক উল্লেখিত ফিড এডিটিভসটি সাদরে গ্রহণ করবেন।

অনুষ্ঠানে Biovet, S.A সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন কোম্পানির Sales Manager (Asia), Mr. Victor Huguet Guillen. তিনি বলেন, Biovet, S.A প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ভিন্নধর্মী পণ্য বাজারজাত করে আসছে। From Farm to Lab & From Lab to Farm আমাদের মূল কনসেপ্ট।

তিনি আরো বলেন, ফার্ম এবং ফিডমিলগুলোর সাথে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ থাকে এবং তাদের প্রতিটি সমস্যার যথাযথ সমাধান দেয়ার আমরা চেষ্টা করি

‘PRONUTRIENT : Understanding Their Mechanism of Action’ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন যৌথভাবে উপস্থাপন করেন Biovet, S.A এর Technical Manager, Dr. Elvira Cano এবং Dr. Cristina Latasa, Recombina Lab, Spain। এ সময় তারা PRONUTRIENT -এর প্রয়োজনীয়তা, আলোচিত পণ্যের ফিল্ড ট্রায়াল রিপোর্ট, প্রিজারভেটিভ ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয় উপস্থাপন করেন।

সেমিনারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্বািবদ্যালয়ে পশুপালন অনুষদের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, বাংলাদেশে প্রতি সপ্তাহে গড়ে প্রায় দেড় কোটি ব্রয়লার বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। এসব বাচ্চার বেশিরভাগই ছোট ও মাঝারি খামারিরা পালন করে থাকেন। কিন্তু জনসংখ্যার ঘনত্ব, অধিক তাপমাত্রা, বাজার অব্যস্থাপনা ইত্যাদি নানা কারণে এসব ছোট ও মাঝারি খামারিদের ব্রয়লার উৎপাদনে যথেস্ট বেগ পেতে হচ্ছে।

সেমিনারে উপস্থাপিত প্রেজেন্টেশনের ওপর প্রশ্ন উত্তর পর্বে আগত অতিথিদের কারিগরি নানান প্রশ্নের সুন্দরভাবে উত্তর দেন বিশেষজ্ঞগণ।

This post has already been read 3795 times!

Check Also

নরওয়ের সাথে সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক: নরওয়ের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট …