এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: গলদা চিংড়ি উৎপাদন ও বিপণনে এক ধরনের সংকট চলছে দেশো বর্তমানে। নানা প্রতিকূলতা এবং কারিগরি দক্ষতার অভাবে দেশের গলদা হ্যাচারিগুলো পোনা উৎপাদনে একরকম ব্যার্থ-ই বলা চলে। এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রমতা দেখিয়েছে মৎস্য সেক্টরে দেশের স্বনামখ্যাত কোম্পানি ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড। কারিগরি দক্ষতা, দক্ষ জনবল, সেবা, খামারি পর্যায়ে কারিগরি নানা সমস্যার সরাসরি সমাধান -ইত্যাদি বেশকিছু কারণে কোম্পানিটির স্বতন্ত্র অবস্থান ও সুনাম রয়েছে দেশের বেসরকারি মৎস্য পেশাজীবিদের কাছে।
জানা যায়, গলদা চিংড়ির পোনা উৎপাদনে সবাই যখন প্রায় ব্যর্থ, ফিসটেক (বিডি) লিমিটেড ঠিক তখন এটিকে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিল। সেই চ্যালেঞ্জ এখন সফল। কোম্পানিটি কারিগরি দক্ষতার সমন্বয়ে সফলভাবে গলদা চিংড়ি পোনা উৎপাদন ইতিমধ্যে শুরু করেছে। কেবল গলদা চিংড়ি পোনা উৎপাদনই নয়, আনুষ্ঠানিকভাবে তারা বিপণন কার্যক্রমও শুরু করেছে।
এ উপলক্ষ্যে সোমবার (৩০ এপ্রিল) সাগরকন্যা হিসেবে পরিচিত কুয়াকাটায় ফিসটেক গলদা হ্যাচারী প্রাঙ্গণে পোনা বিপণন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশালের বিভাগীয় উপ পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান উক্ত কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান, ফিসটেক (বিডি) লিমিটেডের পরিচালক মো. তারেক সরকার ,গলদা হ্যাচারির কনসালট্যান্ট আব্দুর রাজ্জাক, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাফিউল হাসান এবং জোনাল ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম সরাই ছাড়াও কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান হ্যাচারির গলদা পোনা উৎপাদন কার্যক্রম এবং গুণগত মানের ভূয়শী প্রশংসা করেন।
এ সম্পর্কে ফিসটেক গলদা হ্যাচারী ম্যানেজিং পার্টনার মো. তারেক সরকার বলেন, ফিসটেক গলদা চাষিদের উন্নয়নে মানসম্মত পোনা খাবার এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে গলদা চাষ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ গলদা চিংড়ি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবার জন্য ফিসটেক বিডি লিমিটেড বিপণনের পাশাপাশি সারাদেশে গলদা চাষীদের কারিগরি পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে যাবে।
এ সময় তিনি উপস্থিত মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এর মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন রাখেন যেন, ভারত থেকে দেশে অবৈধভাবে নিম্নমানের গলদা চিংড়ি পোনা অনুপ্রবেশ বন্ধ হয় এবং সরকার এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।