ইফরান আল রাফি (পবিপ্রবি): পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বিশাল আকৃতির একটি মৃত তিমি মাছ সমুদ্র জলে ভেসে এসেছে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎসবিজ্ঞান অনুষদকে অবগত করেন। পরবর্তীতে মাৎসবিজ্ঞান অনুষদের একুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আনোয়ার হোসেন মন্ডলের নেতৃত্বাধীন একটি গবেষকদল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে তিমি মাছটি পর্যবেক্ষন করেন। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের গঙ্গামতি নামক স্থানে মাছটি ভেসে আসে।
সরেজমিনে গিয়ে গবেষক দলটি মাছটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, মাথার ব্যাস, লেজের দৈর্ঘ্য সহ বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষন করেন। পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, মাছটির দৈর্ঘ্য ৪৮.৫ ফুট, প্রস্থ ১৫.৫ ফুট, মাথার দৈর্ঘ্য ৮.৬ ফুট, মাথার ব্যাস ১৫.৪ ফুট, পেটের ব্যাস ১৬.২ ফুট এবং লেজের দৈর্ঘ্য ১২.৮ ফুট।
মৃত এই তিমি মাছ সম্পর্কে জানতে চাইলে গবেষকদলের প্রধান ড. আনোয়ার হোসেন মন্ডল বলেন, মাছটি সম্ভবত ১০-১৫ দিন আগে মারা গিয়েছে, শরীরের কিছু অংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সমুদ্র জলে ভেসে আসা মাছটিকে আমরা সরেজমিনে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি। মাছটি মারা যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. আনোয়ার হোসেন মন্ডল আরো বলেন, সমু্দ্র দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে মাছটি মারা যেতে পারে।
উক্ত তিমি মাছের কঙ্কালতন্ত্র সংরক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিবেন কিনা জানতে চাইলে গবেষক দলের সদস্য ও ফিসারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের প্রভাষক মো. আরিফুর রহমান জানান, বিশাল বড় এই কঙ্কলতন্তু সংরক্ষণ করা কঠিন ব্যাপার ও ব্যয়সাধ্য। তবে কঙ্কালতন্তুরের অংশগুলোকে আলাদা আলাদা করে সংরক্ষন করা যেতে পারে এবং এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।
এ গবেষক দলের বাকী সদস্যরা হলেন একুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রোসনে আলম, ফিসারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ফিসারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের প্রভাষক মো. আরিফুর রহমান। এছাড়াও ছিল পবিপ্রবি’র মাৎসবিজ্ঞান অনুষদের অর্নাস ও মার্ষ্টাসের বেশ কিছু শিক্ষার্থী।