ফকির শহিদুল ইসলাম(খুলনা): খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা। মহানগরীর ড্রেন খাল ও নর্দমা সংস্কার করতে যেকোনো অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে তারা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। এজন্য মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দগণ শপথ গ্রহণের পর নিজ নিজ ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিবন্ধকতা দূর করবেন। নব-নির্বাচিত মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক সকল নির্বাচিত কাউন্সিলরের সাথে মতবিনিময়ের সময় এসকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। ওই সভায় নগরীর খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করতে ঐক্যমতে পৌঁছেন মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ। এছাড়াও আগামী ৫ অথবা ৮ জুলাই শপথ অনুষ্ঠানে সকলে এক সাথে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে নবনির্বাচিত মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক সকল কাউন্সিলরের সাথে মিলিত হন। এসময় তিনি কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেন, আমার সাথে সাথে আপনারাও নগরবাসীর ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে নগরীর প্রথম ও প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। এই সমস্যা সমাধানে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এসময় নবনির্বাচিত মেয়র উপস্থিত কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকার সমস্যা চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন।
এ সময় সিটি মেয়র আরও বলেন, আগামী ৫ অথবা ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবেন। সে অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের সকল কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ একসাথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা ও থাকা খাওয়া এবং শপথ শেষে পুনরায় ফিরে আসার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। এসময় উপস্থিত কাউন্সিলরবৃন্দ সকলেই এই সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ আব্দুর রাজ্জাক, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সাইফুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুস সালাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কবির হোসেন কবু মোল্লা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিরর শেখ মোহাম্মদ আলী, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সুলতান মাহমুদ পিন্টু, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ডালিম হাওলাদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমডি মাহফুজুর রহমান লিটন, ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তালাত হোসেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুন্সী আব্দুল ওদুদ, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মুনিরুজ্জামান, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম খুরশিদ আহমেদ টোনা, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোসারাফ হোসেন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আমিনুল ইসলাম মুন্না, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হাফিজুর রহমান মনি, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশফাকুর রহমান (কাকন), ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মো. গাউসুল আজম, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শমসের আলী মিন্টু, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলী আকবর টিপু, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর মো. গোলাম মওলা শানু, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ (ডন), ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম মোজাফ্ফর রশিদী রেজা।
সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহিদা বেগম (আনারস), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর রহিমা আক্তার হেনা, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ আমেনা হালিম বেবী, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কনিকা সাহা, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুন্নেসা লুৎফা।
এছাড়াও ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজমল আহমেদ তপন, ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফকির সাইফুল ইসলাম খুলনার বাইরে থাকায় এবং ৩১ নম্বর কাউন্সিলর মো. আরিফ হোসেন মিঠু বিশ্বকাপ খেলার আয়োজন করায় সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানিয়েছেন মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক।