নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছর দেশে এমন একজন মাছচাষি খুঁজে পাওয়া যাবেনা যারা লোকসান না দিয়েছে। অনেকে পথে বসে গেছেন। মাছের দাম উৎপাদনের চেয়ে কমে যাওয়াতে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। চাষিরা আড়ৎদারদের কাছে নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৮ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন, যশোর-১ (শার্শা) আসনের এম.পি শেখ আফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, গুণগত মানের পোনা উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। ফিডের ক্ষেত্রেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে কিছু কিছু জটিলতার কারণে ফিড উৎপাদন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মাছ চাষিদের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতে যেয়ে এই সাংসদ বলেন, সাধারণ মানুষ যেখানে ৪০ কেজিতে মণ হিসেব করে চাষিরা সেখানে ৪৪ কেজিতে মণ ধরে মাছ বিক্রি করেন। অনেক সময় আড়ৎদাররা ইচ্ছেমতো যে দাম দেন সেটি নিয়েই মাছ চাষিদের চুপ করে ঘরে ফিরতে হয়। এক কেজি পাঙ্গাস কিংবা তেলাপিয়া উৎপাদন করতে যেখানে কমসে কম ৭৫-৮০ টাকা সেটি চাষিদের বিক্রি করতে হয়েছে এরচেয়ে অনেক কম মূল্যে।
তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে চাষিরা মাছ চাষে আগ্রহ হারাবে। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না করতে পারলে কেউ আর মাছ চাষ করবেনা। সেজন্য আমাদের রপ্তানিমুখী চিন্তাভাবনা করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব মাছ বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করতে হবে।
উল্লেখ্য, খুলনা জেলার আফিল এ্যাকুয়া ফিস্ লি. এর সত্ত্বাধিকারি শেখ আফিল উদ্দিন এম.পি গুণগতমানের মাছের (রুই জাতীয় পোনা, শিং, মাগুও, গুলসা, পাবদা শোল) পোনা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে জাতীয় মৎস্য পুরস্কার-২০১৮ এ ভূষিত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে তাকে স্বর্ণপদক ও নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।