মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর প্রতিনিধি): চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষিভিত্তিক অঞ্চল। অনাদিকাল থেকেই কৃষিপণ্য উৎপাদনে চাঁদপুরের সু-খ্যাতি রয়েছে। পদ্মা, মেঘনা, ডাকাতিয়া ও ধনাগোদা নদী দ্বারা বেষ্টিত চাঁদপুরের মাটি ও আবহাওয়া কৃষি উপযোগী একটি জেলা যেখানে সব রকমের কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে। এরমধ্যে পাট অন্যতম।
ষাটের দশকের শুরুতে এখানে ৩ টি জুট মিল (ডব্লিউ রহমান জুট মিল, স্টার আল কায়েদ ও হামিদিয়া জুট মিল) গড়ে উঠেছিল। এসব জুট মিলের ব্যাপক চাহিদার কারণেই চাঁদপুরে কমবেশি পাট চাষাবাদ হয়ে থাকে।
চলতি ২০১৮-২০১৯ বছর চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় পাট চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে দেশি,তোষা,মেষতা ও কেনাফ জাতীয় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা হলো- ৪ হাজার ৪৭ হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে- ৪২ হাজার ৯ শ’ ৩০ বেল । একরপ্রতি উৎপাদন ১০ দশমিক ৬০ বেল (৫ মণ = ১ বেল)।
সরকার এ বছর সকল পণ্যে প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় দেশের সব জুট মিলে ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কাঁচা পাট ও পাটের পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। কৃষকগণও পাট চাষে আগ্রহী হয়েছে। উৎপন্ন পাটের দামও এবার ভালো পেয়েছে।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ির তথ্যানুযায়ী, চাষিগণ এখনও পাট সম্পূর্ণ ঘরে তোলেনি। তাই বর্তমান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। এবার পাট উৎপাদনের অনুকূল আবহাওয়া বিদ্যমান থাকায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে অধিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে কৃষকরাও আগামীতে পাট চাষে আরও উৎসাহিত হবেন।