শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

মতলবে আখের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

মাহফুজুর রহমান: আখের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের কৃষকের মুখে। চলতি বছর উপজেলার প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে দেশি ও উন্নত’ জাতের আখের চাষ হয়েছে।

পাশাপাশি ন্যায্য দাম পেয়ে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকের মুখে। গোটা উপজেলা জুড়ে আখের বেশ চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মতলবের সুস্বাদু এ রসালো ফল মিষ্টি বেশি হওয়ায় পাইকাররা নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায়।

মতলব উত্তরের ছোট হলদিয়া, নিশ্চিন্তপুর, নান্দুরকান্দি, লবাইরকান্দি, বেগমপুর, বড় হলদিয়া, সরদারকান্দি, ওটারটরম হাজীপুর, রাঢ়ীকান্দিসহ কয়েকটি এলাকাগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষকরা এখন আখ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এমনকি ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে পাইকাররা এসে মিনি ট্রাক ও ট্রলার যোগে আখ নিয়ে যাচ্ছে। এ অঞ্চলের আখ খুব মিষ্টি হওয়ায় ঢাকায় মতলবের আখের অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিটি আখ পাইকারি ২০-২৫ টাকা দরে কৃষকরা পাইকারি বিক্রি করছে। ঢাকায় তা পাইকারি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

হাজীপুর গ্রামের কৃষক মতিন মিয়া জানান, এবার আমি প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি এবং ফলনও খুব ভাল হয়েছে।এলাকার অনেকেই আখ করেছে, তাদেরও ফলন খুব ভালো হয়েছে।

এদিকে, খুচরা বাজারে বড় সাইজের আখ ৫০-৬০ টাকা ও মাঝারি সাইজের আখ ৩০-৪০ টাকা ও ছোট সাইজের আখ ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারগুলো খুচরা আখ ব্যবসায়ীদের বেচা-কিনিতে সরগরম। প্রচন্ড রোদে রসালো এ ফল পেয়ে ক্রেতারা আখের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। অনেকে আবারর আত্মীয়র বাড়ি বা নিজের বাড়িতেও আখ কিনে নিয়ে যাচ্ছে অহরহ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ভিতরে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে দেশি ও উন্নত’সহ প্রায় ৬ টি জাতের আখ আবাদ হয়েছে। সেচ প্রকল্পের উচু জমিগুলো পলি ও দোঁআশ মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় আখের ফলন প্রতি বছরই ভাল হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চাহিদার চেয়েও মূল্য বেশি পেয়ে কৃষকরা একদিকে যেমন খুশি, অন্যদিকে প্রতি বছরই চিবিয়ে খাওয়া আখ চাষের দিকে ঝুঁকছে কৃষকরা।

মতলব উত্তর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন জানান, স্থানীয় চাঁদপুর গেন্ডারী-১০০, মিশ্রিমালা, অমৃত, ঈশ্বরদী-১ ও ঈশ্বরদী-২ জাতসহ ৬টি জাতের আখ চাষ হয়েছে। আখের চারা রোপন থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত ৬-৮ মাস সময় লাগে।

তিনি আরো জানান, বিভিন্ন রোগবালাই থেকে কৃষকরা যেন তাদের ফসল বাঁচাতে পারে সেজন্য যথাসময়ে কৃষি অফিসের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলন ভাল হওয়ায় আখ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

This post has already been read 5731 times!

Check Also

বারি ও সুপ্রিম সীড কোম্পানি লি: এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

গাজীপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং সুপ্রিম সীড কোম্পানি লিমিটেড এর মধ্যে এক …