রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর পবা উপজেলায় পোল্ট্রি সেক্টরে অভাবনীয় প্রসার লাভ করেছে। এই উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় সব মিলিয়ে ৫ শতাধিক পোল্ট্রি খামার রয়েছে। কিন্তু সরকারী হিসেব মতে রয়েছে ৩১৬টি যার মধ্যে লেয়ার খামার ১৬৩টি ও ব্রয়লার পোল্ট্রি মুরগীর খামার ১৫৩ টি। এই খামার গুলোতে স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে ও নিরাপদ পোল্ট্রি মুরগীর খাদ্য খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে মুরগী উৎপাদন হচ্ছে কিনা অর্থাৎ খামার থেকে বাজারে ভোক্তা পর্যন্ত পোল্ট্রি মুরগী হিসেবে নিরাপদ মাংস ও ডিম পৌঁছে কিনা তা মনিটরিং জোরদার করার উপর প্রয়োজনীয় পদ্ধতি নির্ণয় ও মনিটরিং নিশ্চিতকরণে সহায়তা শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের বারনই সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাহিদ নেওয়াজ ও প্রধান বক্তা হিসেবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ড. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দাতা সংস্থা ইউকেএইড এর অর্থায়নে ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের কারিগরি সহায়তায় ভোক্তা অধিকার বিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজুমারস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব এর বাস্তবায়িত ইস্যু বেইজড্ প্রজেক্ট অন ফুড সেফটি গভার্নেন্স ইন পোল্ট্রি সেক্টর প্রকল্প এই কর্মশালার আয়োজন করে।
ক্যাব জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মো. হাসান-আল-মারুফ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল হক তোতা, উপজেলা কনজুমারস এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদ আলী খাঁন, পারিলা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল বারী, সাংবাদিক মো. জিল্লুর রহমান, শিক্ষার্থী ফারহানা আক্তার আঁখি, গৃহিনী আছিয়া আক্তার, জীবন্ত মুরগী বিক্রেতা মো. আসাদুল জামান প্রমূখ।
কর্মশালায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হক বলেন, পবা উপজেলায় মোট জনসংখ্যা ৩ লক্ষ ১০ হাজার।
জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও) মতে একজন ব্যক্তি বছরে ১০৪টি ডিম খায় এবং সে হিসেবে পবা উপজেলায় ডিমের চাহিদা বছরে ৩ কোটি ২২ লক্ষ। কিন্তু বছরে এই উপজেলার খামার গুলোতে ডিম উৎপাদন হয় সাড়ে ১২ কোটি। এক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ডিমের চাহিদা পূরণ করছে পবা উপজেলার উৎপাদিত ডিম। তিনি সরকারী সঠিক মনিটরিং সিস্টেম চলমান থাকায় এই উপজেলায় পোল্ট্রি সেক্টরে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে বলে দাবি করেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ৩০ জন পেশাজীবি অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারীরা পোল্ট্রি সেক্টরে সরকারী মনিটরিং সিস্টেম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে এবং একই সাথে নিরাপদ পোল্ট্রি সেক্টর উন্নয়নে ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা গৃহিত হয়।