ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বর্তমান বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় গরু। গরুকে কেন্দ্র করে মারামারি, ধর্ষন, খুনের ঘটনা ঘটছে অহরহ। সে পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলে না হয় কথা ছিল, বিষয়টি এখন রাষ্ট্র মাতা পর্যন্ত গড়িয়েছে। তাই কোন মানুষকে নয়, গরুকেই এবার ‘রাষ্ট্র মাতা’ ঘোষণা করা হচ্ছে দেশটিতে। ভারতের উত্তরাখন্ড বিধানসভায় গত বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর)সর্বসম্মত ভোটে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। প্রস্তাবটি এখন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। খবর পিটিআই।
প্রস্তাবটি বিধানসভায় উত্থাপন করেন ররাজ্য পশুপালনমন্ত্রী রেখা আর্য। জানা যায়, বিধানসভায় এই প্রস্তাব পেশ করার সময়ে রেখা আর্য দাবি করেন, গরুই একমাত্র প্রাণী যে শ্বাস গ্রহণের সময় যেমন অক্সিজেন নেয় তেমনি শ্বাসত্যাগ করার সময়েও অক্সিজেন নিঃসৃত হয়।
রেখা আর্য উত্থাপন করার সময় গো-মূত্রের ঔষধি গুণাবলী সম্পর্কেও বিধায়কদের সচেতন করেন। আর্যর দাবি, মাতৃদুগ্ধের পরেই সদ্যজাতের জন্যে গরুর দুধ সবচেয়ে উপযোগী।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রকাশ পান্ত জানিয়েছেন, আমাদের সমাজ এবং ধর্মে গরুর আলাদা স্থান রয়েছে। তবে গরুকে রাষ্ট্র-মাতা বলা হবে কি না সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রই।
উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডই ভারতের প্রথম রাজ্য যেখান থেকে গরুকে রাষ্ট্র মাতা ঘোষণার প্রস্তাব পাস হয়েছে।