সিকৃবি সংবাদাতা: সিলেট অঞ্চলে একক ফসলী আগর বাগানে কৃষি বনায়ন প্রযুক্তিতে সম্ভাবনাময় জলডুবি আনারস, চা, মাল্টা, বিলাতি ধনিয়া, আদা এবং হলুদ সফলভাবে উৎপাদন সম্ভব। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার ফ্রেমওয়ার্কে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সিলেট অঞ্চলে বিদ্যমান কৃষি বনায়ন পদ্ধতির মূল্যায়ন” শীর্ষক গবেষণা প্রকল্প থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংক, ইউএসএইড ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্প-২ এর আওতায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের তত্ত্বাবধানে গত বছরের জুলাই থেকে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার ইনাই নগরে চলমান রয়েছে।
প্রকল্পটির প্রধান গবেষক এবং কৃষিবনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মো. সামিউল আহসান তালুকদার বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকেরা প্রথাগতভাবে আগর এককভাবে চাষ করে আসছে। এ পদ্ধতিতে আগর বাগান থেকে আয়ের জন্য চাষীদের প্রায় ১২ বছর বা তারও বেশি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ফলে নতুন আগরের বাগান করার ক্ষেত্রে চাষীদের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে।
ফলশ্রুতিতে আগর শিল্পের কাঁচামালের সহজলভ্যতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আগর বাগানে উদ্ভাবিত কৃষি বনায়ন মডেলে একই ব্যবস্থাপনায় এ অঞ্চলের উল্লেখিত উচ্চ মূল্যের ফসল সমূহ থেকে বছরব্যাপী ফলন পাওয়া যাবে আবার আগরের বৃদ্ধিও তরান্বিত হবে। তিনি আরও জানান, সিলেট অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে এই মডেলটির মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবে।