রবিবার , নভেম্বর ২৪ ২০২৪

নতুন এক বাংলাদেশের আত্নপ্রকাশ

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): উন্নয়ন-অগ্রগতির অভিযাত্রায় নতুন এক বাংলাদেশের আত্নপ্রকাশ ঘটেছে। স্বপ্ন-সম্ভাবনার এ দেশের অগ্রযাত্রাকে গণমানুষের কাছে তুলে ধরতে বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) খুলনায় শুরু হয়েছে চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা-২০১৮। খুলনা  জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সার্কিট হাউজ মাঠে ৩ দিনব্যাপী এ উন্নয়ন মেলা চলবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। গণমানুষের জনভাবনার বাংলাদেশের সকল অর্জন যেন নান্দনিক রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে সরকারি বেসরকারী দপ্তরের একশত ৫৬টি স্টলে। সকল দপ্তর তাদের জনবান্ধব সেবা নিয়ে মেলায় এসেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে । এসডিজি বাস্তবায়ন কেবল সময়ের ব্যাপার। ২১০০ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশের একটি উন্নয়ন মেলা যেন তারই একটি প্রতিকৃতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনাসহ দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় আয়োজিত চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার শুভ উদ্বোধন করেন। খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে মেলার উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এম.পি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী জানান, দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে। পিছিয়ে থাকা দক্ষিণাঞ্চল আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, স্থাপন করা হচ্ছে বিমান বন্দর, কার্যকর হয়েছে মংলা বন্দর। স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মানুষকে দিয়েছে শান্তির পরশ। ভিশন-২০২১ ও ২০৪১ অর্জনে নিরন্তর কাজ করছে শেখ হাসিনা সরকার। সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে জানা জনগণের মৌলিক অধিকার। এক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি অনুবিভাগ) শেখ ইউসুফ হারুন, পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির, খুলনা অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।

র‌্যালি চলাকালীন ও উন্নয়ন মেলা প্রাঙ্গণে জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে সরকার গৃহিত উন্নয়ন কর্মসূচির ওপর গণসংঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানের বিরতিতে পটগান পরিবেশনার আয়োজন করে মেলা কর্তৃপক্ষ। খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস ও জেলা তথ্য অফিস মেলা প্রাঙ্গণে তাদের স্টল হতে সরকারের রূপকল্প, শেখ হাসিনার ১০ উদ্যোগসহ অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকান্ডের পুস্তিকা, পোস্টার, স্টিকার ও প্রচারপত্র বিতরণ করে। বিকেলে স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণে থাকছে রিয়েলিটি শো, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় থাকবে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন’ বিষয়ক সেমিনার। সেমিনার শেষে আয়োজন করা হবে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর আগে সকাল ৯টায় এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহীদ হাদিস পার্ক থেকে সার্কিট হাউজ মাঠের মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মেলার থিম সং ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পরিবেশন করা হয়। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল নয়টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত।

This post has already been read 2980 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …