মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর প্রতিনিধি) : মা ইলিশ রক্ষার জন্য মেঘনা নদীতে চাঁদপুরে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এর যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। শুক্রবার ১৯ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে চাঁদপুর শহরের বড় ষ্টেশান মোলহেড থেকে জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পিএএ ও পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, পিপিএম এর নেতৃত্বে শুরু করা হয় ইলিশ প্রজনন রক্ষায় চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্সের এ অভিযান। ৫ টি স্প্রীট বোটে অবস্থান করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীরা নদীতে টহল দেন। অভিযানে বিপুল পরিমান কারেন্টজাল, মাছ ও ২০ জেলে নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষায় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ অভিযান
টাস্কফোর্সের একাধিক অভিযান পরিচালিত করে জাল ও মা ইলিশ জব্ধ করা হয়। এছাড়াও আনন্দবাজার ঘাট থেকে ২০টি জেলে নৌকা জব্দ করে তালা দিয়ে রাখা হয়।
ইলিশ সীমানার রাজরাজেশ্বর, মতলবের আমিরাবাদ, মোহনপুর ও ষাটনল এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মতলবের আমিরাবাদ ও মোহনপুর থেকে জব্দ করা হয় ইলিশসহ বিপুল পরিমান কারেন্টজাল। পৃথক আরেকটি অভিযানে ইলিশ কেনার ট্রলার ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। রাজরাজেশ্বর মেঘনা নদীতে অভিযানের মধ্য জেলেদের ইলিশ কেনার জন্য একটি ট্রলার পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। চরের মাথায় অভিযান চালিয়ে ইউএনও সদর কানিজ ফাতেমার নেতৃত্বে উপজেলা টাস্কফোর্স ট্রলারটি প্রায় ৫ মন ইলিশসহ জব্দ করেন। পরে ট্রলারটি মেঘনার মাঝ নদীতে ডুবিয়ে দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এডিএম মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী, কোস্ট গার্ড কমান্ডার লে. এনায়েত উল্লাহ বিএন, সদর ইউএনও কানিজ ফাতেমা, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান মানিক, সদর মডেল থানার ওসি ইবরাহিম খলিল, নৌ সদর থানার ওসি রেজাউল করিম ভূঁইয়া, পিপিএম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মৃর্ধা, তরপুরচন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজী প্রমুখ। সফল এ অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে কোস্ট গার্ড ও গণমাধ্যম কর্মিরা সহযোগিতা করেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ অক্টোবর মেঘনা ও পদ্মাসহ বিভিন্ন নদীতে ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে মা ইলিশ রক্ষর্থে বাকি কয়েকদিন প্রশাসনের কড়া অভিযান চলমান থাকবে।