নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): তেল ও মসলা আবাদে দক্ষিণাঞ্চলে কিছুটা প্রতিকূলতা বিরাজমান। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই আমাদের তেল ও মসলা ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এখানে মুগ এবং খেসারির চাষাবাদ যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। কোথাও কোথাও মরিচের আবাদও হচ্ছে। আমাদের এসব সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে কৃষকদের আরো উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সোমবার (২২ অক্টোবর) নগরীর ব্রির সম্মেলনকক্ষে এক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ গোলাম মো. ইদ্রিস এসব কথা বলেন।
কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের উদ্যোগে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) বরিশাল অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক তুষার কান্তি সমদ্দার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রকল্পের কনসালটেন্ট আশ্রাফুল ইসলাম ও উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. ফ. ম. মাহবুবুর রহমান।
বানারিপাড়ার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. অলিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডিএই বরিশালের উপ-পরিচালক হরিদাস শিকারী, পিরোজপুরের উপ-পরিচালক আবু হেনা মো. জাফর, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আব্দুল অদুদ খান, আমতলীর উপজেলা কৃষি অফিসার এস এম বদরুল আলম, বাবুগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম, মুলাদীর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রেজাউল হাসান প্রমুখ।
কর্মশালায় প্রকল্পের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনার ওপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে কৃষকসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বারি, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, বিএডিসি, এসআরডিআই, এটিআই, হর্টিকালচার সেন্টারের বিভিন্ন পর্যায়ের ৮০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।