এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: ক্ষুধামুক্ত হয়েছে দেশের মানুষ। এখন দরকার পুষ্টি ও দারিদ্র্যের অবসান। সরকার বর্তমানে এ লক্ষ্যে কাজ করছে। আগামী বছরে নতুন সরকার এ লক্ষ্যকে পরিপূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিবে।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর থ্রিডি সেমিনার হলে ‘‘গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স’’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজ কল্যান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমন এক সময় ছিলো যখন সাত কোটি মানুষের মুখে খাবার আমরা দিতে পারিনি। বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। আজ সে অবস্থা আর নেই। এখন ১৬ কোটি মানুষের দেশে কেউ না খেয়ে থাকে না। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে শক্তিশালী করার কাজ ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী অনেকের থেকে আমরা এগিয়ে রয়েছি। শিশু মৃত্যুর হারও এ বছর অনেক কমেছে।
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। ক্ষুধা সূচকে আমরা এগিয়েছি। আমাদের আরো সামনে এগুতে হবে। আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরিফুর রহমান অপু এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মীর নুরুল আলম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি Mr. Philippe Dresruesse, ওয়েল্টহঙ্গার হিলফের ফুড এন্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি পলিসি এডভাইজার Mr. Fraser Patterson প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন আনন্দ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান মিয়া। ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও আনন্দ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
বক্তরা জানান, ২০১৮ সালের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ১১৯টি যোগ্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৬তম স্থানে রয়েছে। যার স্কোর ২৬.১। ২০০০ সালে স্কোর ছিল ৩৬.০। তবে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান থেকে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ৮৬, ভারত ১০৩, পাকিস্তান ১০৬, আফগানিস্থান ১০৭ তম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের শিশু মৃত্যূর হার ২০১০ সালে ৪.৯% থেকে কমে ২০১৮ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৩.৪%। অন্যদিকে শিশু খর্বাকৃতি ২০১৮ তে ৩৬.১ যা ২০১০ এ ছিল ৪১.৪।