সাব্বির বিন আশ্রাফ (বশেমুর বিপ্রবি): আমরা যারা শহরে বসবাস করি তাদের ছাদে কিংবা বারান্দায় বিভিন্ন রকম ফুল, ফল ও শাক সবজির চাষ করে অনায়াসেই আমাদের পারিবারিক চাহিদা মিটাতে পারি। এক্ষেত্রে দরকার শুধু সবুজের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা আর ফ্রেশ খাবারের পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা৷ নিজে ছাদবাগান করলে অন্য নিকটস্থ ছাদের মালিকগণ দেখে আগ্রহী হয়ে তার ছাদেও ফুল, ফল, শাক-সবজি প্রভৃতি চাষ করা উৎসাহ পায় এবং শুরু করার প্রত্যয় পায়। ফলে শহরের বায়ুটা কিছুটা হলেও ফ্রেশ অক্সিজেনযুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখবে। এখন ছাদবাগান করে অনেকেই পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর মাঝে বিলিয়ে দিয়ে একটা সু-সম্পর্কতৈরী করা যায়।
এমনই একজন সবুজপ্রেমী উদ্যোক্তা ইসরাত নিগার লাজ, যিনি তার বাড্ডা লিংক রোড সংলগ্ন পাচঁ তলা ভবনের ছাদে ফুল-ফসলে পরিপূর্ণ করেছেন। তার ছাদবাগানে ফুল, শাকসবজি ও ফলের গাছগুলো
প্রাধান্য পেয়েছে।
ফল গাছের মধ্যে মাল্টা, আম, লিচু, পেয়ারা, সফেদা, কুল, ড্রাগন, আমলকি, আতা, সরুফা, কলা, পেপে প্রভৃতি আছে। শাক-সবজির মধ্যে আছে লাউ, চালকুমড়া, দেশী সীম, ঢেড়শ, বেগুন, শসা, করলা, সজিনা, কলমী শাক, লাল শাক প্রভৃতি। উনি বলেন, আমার ছাদবাগানের কীটনাশকমুক্ত ফ্রেশ ফল ও শাকসবজি পারিবারিক খাদ্য পুষ্টিতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও অতিরিক্ত ফল ও শাকসবজি আত্মীয়সজনদের সাথে শেয়ার করতে পারছেন।
এছাড়া, ফুল ও শোভা বৃদ্ধিকারী উদ্ভিদের মধ্যে গোলাপ, অরকিড, ক্যাকটাস ছাড়াও নানা ধরনের উদ্ভিদের সংগ্রহ আছে উনার ছাদ ও ব্যলকনীতে।
আমরা যারা শহরে বসবাস করি এবং যাদের বাসার ছাদ বা ব্যলকনীতে যথেষ্ট যায়গা আছে তারা একটু আগ্রহভরে ছাদবাগান করে আমাদের পারিবারিক খাদ্য পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারি এবং পাশাপাশি নগর সবুজায়নের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারি।