শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

হাবিপ্রবি প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের ৪ দফা: না মানলে বৃহত্তর আন্দোলন

হাবিপ্রবি, দিনাজপুর: দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)-এর প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের পক্ষ থেকে ৪ দফা দাবি সম্বলিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি বুধবার (৩১) অক্টোবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাঠিয়েছে। উক্ত দাবিগুলো মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেয়া হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বলরাম কুমার রায় স্বাক্ষরিত উক্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও আওয়ামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্যতম সংগঠন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি ও সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ বিনির্মাণে কাজ করছে।

সেখানে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল পরিবারসহ সকলের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া আদায়ে সর্বদাই সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত দেড় বছরেও নিম্নলিখিত যৌক্তিক দাবি-দাওয়া বিভিন্নভাবে পেশ করে আসছে। এ দাবি-দাওয়াগুলো মানববন্ধন, স্মারকলিপি, কালোব্যাজধারণ, উপাচার্য ও রেজিষ্ট্রারের সাথে বারংবার সাৎক্ষাতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। কিন্তু তার বাস্তবায়ন কোনোভাবেই অগ্রসর হচ্ছে না বলে প্রগতিশীল পরিবার লক্ষ্য করেছেন। এমনকি প্রশাসনের কাছে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলেও তথ্য প্রদানে গড়িমসি করছে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০.০০ ঘটিকায় নিম্নলিখিত দাবি-দাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সামনে তুলে ধরা হয়। কিন্তু যৌক্তিক দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে উপাচার্য বরাবরের মত বিরুদ্ধাচারন করেন।

১. যৌন নির্যাতক হিসেবে প্রমাণিত ড. রমজান আলীর শাস্তির এজেন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সভা রিজেন্ট বোর্ডে উপস্থাপন করা হয়নি। যেটি সুস্পষ্ঠভাবে হাইকোর্টের যৌন হয়নারি সেলের পরিপন্থী।

২. সকল বিধি-বিধান পূরণ ও বিজ্ঞ সিলেকশন বোর্ড সদস্যরা প্রমোশনের জন্য সুপারিশ করা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের প্রমোশন রহিত করার ব্যাপারে এজেন্ডা উপস্থাপন করা হয় রিজেন্ট বোর্ডে। যেটি সমগ্র শিক্ষক সমাজের জন্য কলংকজনক।

৩. বিভিন্ন বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট রিজেন্ট বোর্ডে আংশিক ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপস্থাপন করা হয়। উল্লেখ্য যে, ওই রিজেন্ট বোর্ডে দুইজন সন্মানিত সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। যেখানে মাননীয় সাংসদদেরও পক্ষপাতমূলকভাবে ভূল বুঝিয়েছেন রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য।

৪. কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পক্ষপাতমূলকভাবে শাস্তি দেবার উদ্দেশ্যে রিজেন্ড বোর্ডে এজেন্ডা উপস্থাপন করেন।

উপরোক্ত দাবি-দাওয়াগুলো সঠিক ও ন্যায়সঙ্গতভাবে সুষ্ঠু ব্যবস্থা না নেওয়া হলে অনতিবিলম্বে প্রগতিশীল পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

This post has already been read 4007 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …