মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর প্রতিনিধি): চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় চলতি (২০১৮-১৯) রবি মৌসুমে ২ হাজার ৮১০ কেজি বোরো ধান বীজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সরকার ধান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ উন্নত জাতের বীজ বরাদ্দ করেছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ খামার বাড়ি। চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ খামার বাড়ি সূত্রে জানা যায়, উন্নত ধান বীজগুলো হলো বিআর১৪, বিআর১৬, বিআর২৬, ব্রিধান২৮, ব্রিধান২৯, ব্রিধান৫০, ব্রিধান৫৫, ব্রিধান৫৮, ব্রিধান৬৩।
বিক্রির জন্য চাঁদপুর সদরে ৩৮৮ কেজি, হাইমচরে ২৯৯ কেজি, ফরিদগঞ্জ ৭৭৯ কেজি, শাহারাস্তিতে ৩৯০ কেজি, কচুয়াতে ২২১কেজি, মতলব উত্তরে ২৫০ কেজি, মতলব দক্ষিণে ২০০ কেজি, এবং হাজীগঞ্জে ২৮৩ কেজি বীজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব ধানের বীজের মধ্যে বিআর১৪ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে, বিআর১৬ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে, বিআর২৬ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে, ব্রিধান২৮ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে, ব্রিধান২৯ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে, ব্রিধান৫০ হলো ৫৩ টাকা কেজি দরে , ব্রিধান৫৫ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে , ব্রিধান৫৮ হলো ৪৩ টাকা কেজি দরে, ব্রিধান৬৩ হলো ৪৩ কেজি দরে সরকারিভাবে বিক্রির এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্ব স্ব উপজেলার হাট-বাজারের ডিলারগণ এ বীজ কৃষকের নিকট বিক্রি করবে বলে চাঁদপুর বীজ বিতরণ কেন্দ্র জানান।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহ আলম জানান, বোরো ধান আবাদ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কিছু কৃষক নীচু জমিতে কাদা মাটিতে এখনই বোরো ধান লাগানো শুরু করেছেন। আর জানুয়ারী ১ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারী মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বোরো ধান রোপন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। চাঁদপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুর রশিদ জানান, চাঁদপুর জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবি। ধান, গম, আলু, সরিষা পাট, সয়াবিন, আখ, অভিন্ন শাকসবাজ চাঁদপুর জেলার প্রধান ফসল। কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ১০, ১৬, ১৭, ১৯ এর আওতাভুক্ত।
চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প নামে দুটি প্রকল্প এলাকায় ৪ টি উপজেলা রয়েছে এগুলো হলো, চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর, হাইমচর, এখানে ২৩ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমি রয়েছে। জেলার মানুষের মৌলিক খাদ্যের প্রয়োজন ৪ লাখ ১২ হাজার ৯৯৪ মে. টন। বিগত দিনে খাদ্য উৎপাদন ঘাটতি ছিলো প্রকট। বর্তমান সরকারের কৃষি বান্ধব নীতির কারণে উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি চালুকরণ ও আধুনিকতার আবাদের মাধ্যমে বর্তমানে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯৩২ মে. টন। খাদ্য উৎপাদনে সরকার বিদ্যুৎ ও সার ভর্তুকি এবং ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে কৃষিঋণ বিতরণ করছে। সরকার কৃষি গবেষণার মাধ্যমে উন্নত বীজ উৎপাদনের ব্যাবস্থা করেছে আর তা সাধারণ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার কারণে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।