নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): প্রতিবারের ন্যায় এবারও বরিশালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) পালিত হলো বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস। এ উপলক্ষে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র্যালির নগরীর সার্কিট হাউজ থেকে শুরু হয়ে অশ্বিনী কুমার টাউন হলে গিয়ে শেষ হয়। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপ-পরিচালক হরিদাস শিকারী, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ড. মোহাম্মদ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গোলাম কিবরিয়া, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ছাব্বির হোসেন, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো: মাটি দূষণ, করি অনুশাসন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বব্যাপি এ দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্বে আজ প্রায় ৮২ কোটি মানুষ খাদ্যাভাবের শিকার এবং ২শ’ কোটি লোক অপুষ্টির ভুগছে। উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় শতকরা ৯৫ ভাগ মাটি থেকে আসে। বায়ুমন্ডলের ক্ষতিকর কার্বন ডাই অক্সাইডের তিনগুণই মাটি ধরে রাখে। আবাদি জমির প্রায় ৩৩ শতাংশ মাটির অবক্ষয়ের শিকার। তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ দিবসটির তাৎপর্য আরো বেশি। যেহেতু এ দেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ। সে কারণে ক্রমহ্রাসমান ভূমি সম্পদ থেকে অতিরিক্ত জনসংখ্যার খাদ্যের যোগান দেয়া বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও সাড়ে চার দশকের ব্যবধানে ১৯৭১ সালের তুলনায় ফসলের উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ। তবে ২ হাজার ৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য খাদ্য উৎপাদন আরো দ্বিগুণ বাড়াতে হবে। আর সে লক্ষ্যে প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তারের পাশাপাশি মাটি সুরক্ষা, সে সাথে সঠিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিতে হবে অনেক।