মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর প্রতিনিধি): চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ৭ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সেগুলো হলো রাজস্ব অর্থায়নে প্রদর্শণী কার্যক্রম বাস্তবায়ন, কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ডাল, তেল ও পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প, খামার পর্যায়ে পানি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প, খামার যান্ত্রিকরণের মাধ্যমে উৎপাদন প্রকল্প, সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কম্পোনেন্ট এবং সৌরশক্তি ও পানি সাশ্রয়ী সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো.কবির হোসেন বলেন, ‘চাঁদপুরে ৪০ টি এসএমই রয়েছে। বিভিন্ন ফসল যেমন সরিষা, খেসারী, হলুদ, সয়াবিন ইত্যাদি উৎপাদন বাড়াতে ঐ এসএমই’র মাধ্যমে সার, বীজ ও প্রযুক্তির প্রদান করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পগুলো উপজেলা ভিত্তিক মৌ-চাষ প্রযুক্তি সহায়তাও দিচ্ছে। এমনকি এ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভাসমান পদ্ধতিতে শাক-সবজি ও লাউ জাতীয় সবজি আবাদের জন্যে কৃষিকদেরকে সার্বিক প্রযুক্তিগত প্রদান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জেলার ২৫ লাখ জনসংখ্যার অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবি। ধান, গম, আলু, সরিষা পাট, সয়াবিন, আখ, অভিন্ন শাকসবজী জেলার প্রধান ফসল। কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ১০, ১৬, ১৭, ১৯ এর আওতাভুক্ত। চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প নামে দু’টি প্রকল্প জেলার ৪ উপজেলা সদর, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর, হাইমচরে ২৩ হাজার ৩ শ’ ৯০ হেক্টর জমি রয়েছে। এ জেলার খাদ্যের প্রয়োজন ৪ লাখ ১২ হাজার ৯ শ’ ৯৪ মে. টন। বিগত দিনে খাদ্য ঘাটতি ছিলো প্রকট।
উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি চালুকরণ আধুনিক জাতে আবাদেও মাধ্যমে বর্তমানে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯শ’ ৩২ মে. টন। বিশেষ করে চাঁদপুর জেলার কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত কৃষি বিষয়ক পরিকল্পনা সফল বাস্তবায়নে জেলার খাদ্য ঘাটতি পূরণ, দারিদ্রমোচন, পুষ্টির অভাব দূরীকরণসহ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।