শনিবার , নভেম্বর ২৩ ২০২৪

ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা এখন বিশ্বে সমাদৃত রোল-মডেল  

ঢাকা সংবাদদাতা: বিজয়দিবস উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে “সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ডিজিটাল-প্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ” শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার কর্তৃক ২০০৮ সালে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” ঘোষণা দেয়ায় দেশে এখন সার্বিক যোগাযোগক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তনসাধিত হয়েছে। এমনকি ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা এখন বিশ্বে সমাদৃত রোল-মডেল হওয়ায় প্রতিবেশী ভারতও আমাদের ঘোষণার ছয়বছর পর ভারতকেও ডিজিটালাইজেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্যোগগ্রহণ করে। যুক্তরাজ্যের মতন উন্নত দেশেও আমাদের আদলে “ডিজিটাল ইউকে” নামে পরিকল্পিত ডিজিটাইজিলেশন চালু হওয়ায় আমরা অগ্রপথিকের জায়গায় চলে এসেছি।

তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ডিজিটাল  বাংলাদেশ এর ঘোষণার পর আমাদের অনেকের কাছেই বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। কিন্তু আজ ১০ বছরের মাথায় অনলাইন লেনদেন, কেনাকাটা, ই-টেন্ডার, ই-টিকেট, ই-ফাইলিং, ইএফটি পদ্ধতিতে বেতনপ্রদান, ই-মেইল মার্কেটিং, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের ডিজিটাল পেমেন্টসহ অল্পসময়ে অসংখ্য সুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। এখন ১৭ কোটি মানুষের ১৫ কোটি লোক যেমন মোবাইল ব্যবহার করেন, তেমনই ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সহজ-যোগাযোগের মাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন বলে তারা মন্তব্য করেন।

মৎস্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) অরুণ কুমার মালাকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মৎস্য সচিব রইছউল আলম মণ্ডল প্রধান অতিথি ছিলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমেদ, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, মৎস্য অধিদফতরের মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা এমদাদুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।

This post has already been read 3416 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …