রাজশাহী সংবাদদাতা: একমাত্র জীব নিরাপত্তাই পারে পোল্ট্রি শিল্পে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে। পোলট্রিতে ব্যকটেরিয়াজনিত রোগের বিরুদ্ধে সাধারণত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। প্রত্যেক খামারি যদি তাদের সামর্থ্য অনুসারে খামারের চারদিকে দেয়ালের ব্যবস্থা করেন যাতে করে বাহির থেকে সহজে কোন প্রাণি খামারের প্রবেশ করতে না পারে, এমনকি খামারে নিজেদেরও প্রবেশ সংরক্ষিত করা যায় তবেই জীবাণু সহজে প্রবেশ করতে পারবে না। জীবাণু মুক্ত রাখতে খামারকে সবসময় পরিস্কার রাখতে হবে। খামারে কাজের সময় কর্মীকে মাস্ক, আলাদা পোশাক, সেন্ডেল, হ্যান্ড গ্লোবস্ ও টুপি পরিধান করতে হবে। খামারের মেঝে অবশ্যই পাকা হতে হবে। সময়মতো টিকা ও কৃমি নাশক দিতে হবে, নিরাপদ খাদ্য ও পানি নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) রাজশাহীর পবায় পোল্ট্রি সেক্টরে নিরাপদ মাংস নিশ্চিতকরণ সভায় প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় এসব কথা বলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. খন্দকার সাগর আহমেদ। তিনি আরো বলেন, খামারীরা না বুঝেই ভাইরাস জনিত রোগের বিরুদ্ধে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে যা শুধুই অর্থের অপচয় মাত্র। কারণ, বেশিরভাগ খামারীরা জানেনা যে, এন্টিবায়োটিক ভাইরাস জনিত রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে না।
ভোক্তা অধিকার বিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজুমারস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব এর উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সভপতিত্ব করেন ক্যাব (রাজশাহী) –এর মাঠ সমম্বয়কারী কৃষিবিদ মিজানুর রহমান।
দাতা সংস্থা ইউকেএইড এর অর্থায়নে ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের কারিগরি সহায়তায় ক্যাব কর্তৃক বাস্তবায়িত ইস্যু বেইজড্ প্রজেক্ট অন ফুড সেফটি গভার্নেন্স ইন পোল্ট্রি সেক্টর প্রকল্প এই সভার আয়োজন করে। সভা পরিচালনা করেন প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিদুল হাসান ও কৃষিবিদ মোজাম্মেল হক।