এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: গত ২২ ও ২৩ জানুয়ারি সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ৫টি খোলা স্পটে স্তুপকৃত বিপুল পরিমান ট্যানারির বর্জ্য ধ্বংস করায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে এবং একই সাথে অভিযানের নেতৃত্বদানকারি র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সারোয়ার আলম কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ধরনের বিষাক্ত বর্জ্য- পরিবেশ এবং মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সে কারনেই এ ধরনের শিল্প বর্জ্য সঠিক পদ্ধতিতে ধ্বংস করার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। আমরা আশা করবো পরিবেশ, প্রাণিক‚ল এবং বিশেষ করে মানুষের জীবন ও সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে র্যাব ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২২ ও ২৩ জানুয়ারি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরে কিছু ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে যেমন- ৫টি খোলা স্পটে স্তুপকৃত ট্যানারির বর্জ্য জব্দ বা ধ্বংস করা হলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে তৈরি হাঁস মুরগি মাছের খাদ্য তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে। বলা হয়েছে- ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে তৈরি ১১ হাজার টন হাঁস মুরগি মাছের খাদ্য জব্দ করা হয়েছে। আসলে ওগুলো ছিল ট্যানারির বর্জ্য। কাজেই এর সাথে পোল্ট্রি শিল্প কিংবা ফিড প্রস্তুতকারক শিল্পের কোনই সম্পর্ক নেই। এ ধরনের ভুল সংবাদের কারণে ভোক্তাদের মাঝে নেতিবাচক ধারনা ও ভীতির সৃষ্টি হয়েছে- যা কাম্য নয়।
বাংলাদেশে এখন সরকারিভাবে নিবন্ধিত ১৯৮টি ফিড মিল রয়েছে। ফিড ফর্মূলেশন এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে অত্যন্ত নিরাপদ পোল্ট্রি ও ফিস ফিড এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে- যেখানে নি¤œমানের উপকরণ ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই।
তাই ভোক্তা সাধারনকে আমরা জানাতে চাই আপনারা নিশ্চিন্তে পোল্ট্রি’র ডিম ও মুরগির মাংস এবং মাছ খান; প্রোটিনের চাহিদা মেটান; সুস্থ্য থাকুন।