ঢাকা সংবাদাতা: বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করে আলু রপ্তানির তাগিদ দিয়েছেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলু রপ্তানির ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যা ও নিরসনে করণীয় সম্পর্কিত তিনি উক্ত তাগিদ দেন।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আলুর উৎপাদন চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। আলু রপ্তানি নিয়ে আমাদের নিবিরভাবে কাজ করতে হবে। বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করে আমাদের রপ্তানির সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। আলু তথা কৃষিপণ্যের রোগ নির্ণয়ের একাধিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে হবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবেও একটি ল্যাবরেটরি থাকবে তদারকির জন্য। আমাদের যে কয়টি ল্যাবরেটরি রয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিয়ে সেগুলোর অ্যাক্রিডিটেশন নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানিকারক দেশ যে সব শর্ত দিয়েছে তা মেনে ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট বা উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট (পিসি) নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে।
তিনি কৃষিপণ্য রপ্তানিতে সমস্য নিরুপনে একটি কমিটি গঠনেরও তাগিদ দেন। রপ্তানির জন্য একটি সেল গঠন করতেও কৃষি সচিবকে নির্দেশ দেন। আলু রপ্তানির প্রধান অন্তরায় রোগ জীবাণু ও পরিপুষ্ট আলু। রপ্তানির উপযোগি আলু আহরন যথাসময়ে করতে হবে। এর জন্য কন্ট্রাক্ট ফারর্মিং করা যায় কিনা তা নিরুপণ করতে হবে। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর ব্যাপারে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আলুর ব্রাউন রটসহ অন্যান্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া’র ব্যাপারে শতর্ক থাকতে হবে, নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় আলু রপ্তানির জন্য যে নির্দেশনা রয়েছে তা পূরণ করে রপ্তানির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আরও নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে আলু রপ্তানি হচ্ছে সেসব দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিধি বিধান যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে ও পিসি নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় বলা হয় ২০১৪ সালে রাশিয়ায় রপ্তানিকৃত আলুতে ব্রাউন রট ধরা পড়ে যার প্রেক্ষিতে তারা রপ্তানি বন্ধ করে। সেই সময় আমাদের রোগ সন্তাক্তকারী ব্যবস্থা ছিলোনা, এখন সব রকম জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া সনাক্তকরণের সক্ষমতা রয়েছে। আমাদের চারটি ল্যাবেরটরি যেমন- বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব ল্যাবরেটরি এবং বিসিএসআই’র ল্যাবরেটরিগুলো বলাইনাশক ও কীটনাশকের এআরএল পরীক্ষার জন্য অ্যাক্রিডিটেড এবং হেভি মেটাল পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ল্যাবরেটরি অ্যাক্রিডিটেড। এছাড়া আলুর মাইকোটক্সিন ও মাইক্রোবাইওলজি কন্টিমিনিটেন্টস পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই ল্যাবরেটরি অ্যাক্রিডিটেড। এছাড়াও বেসরকারি এসজিএস ল্যাবরেটরিও অ্যাক্রিডিটেড।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান -এর সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সংস্থার প্রধানগণ ও কৃষি বিজ্ঞানী, গবেষক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, রপ্তানি উন্নয়ণ ব্যুরোর প্রতিনিধি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, বিএসটিআই এর প্রতিনিধি ও এক্রিডিটেশন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।