এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক : দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলার কাফুরা গ্রামে অগ্রগামী কৃষকের বসবাস। এ অঞ্চলরে কৃষকের কৃষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও জাত সাদরে গ্রহণ করে থাকেন এবং তারা গমের ব্লাস্ট রোগ সর্ম্পকে খুবই সচতেন। ইতিমধ্যে তারা সিডার যন্ত্র ব্যবহার করে লাইনে বারি গম৩৩ জাত চাষ করছেন। এখন তারা বারি গম ৩৩ জাতের বীজ কিভাবে উৎপাদন করা যায়, গম র্কতনরে জন্য লাগসই প্রযুক্তি কি যা দিয়ে তারা কম খরচে ও সহজে ফসল ঘরে তুলতে পারে ও সংরক্ষণ করতে পারবে সে সর্ম্পকে জানতে আগ্রহী।
নতুন জাতের বারি গম৩৩ জাতের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও স্থানীয় জনগণরে মধ্যে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী বার্তা পৌঁছে দেয়ার লক্ষে রবিবার (০৩ র্মাচ) ফরিদপুর সদর উপজেলার কাফুরা গ্রামে ইউএসএআইডি -এর আর্থিক সহায়তায়, আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদ এর যৌথ উদ্যোগে নতুন জাতের গম (বারি গম৩৩) বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষেণের ওপর কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আনোয়ার হোসনে, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, ফরিদপুর সদর উপজলো, ফরিদপুর।
প্রধান অতিথি র বক্তব্যে বলনে যে ব্লাস্টকে না বলুন, নিরাপদে ফসল ঘরে তুলুন। এজন্যই আমাদের গমের উন্নত জাতগুলো চাষাবাদ করতে হচ্ছে। এই জনহতিকর কাজের জন্য তিনি সিমিটির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করনে।
সমাবেশে কাফুরা ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের ৬০ জন কৃষাণী ও ৩০ জন কৃষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ শতাধকি লোকজন উপস্থতি ছিলেন। সিমিট-বাংলাদেশ ফরিদপুর হাব -এর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন । সিমিট’র কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা খ.ম জসিম উদ্দীন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিমিট-বাংলাদেশ, ফরিদপুর হাব -এর হাব কো-অর্ডিনেটর মোকছদেুল আলম আরাফাত।
সমাবেশে উপস্থিত কৃষকদেরকে মাঠ পরিদর্শনের মাধ্যমে নতুন জাতের গম (বারি গম ৩৩) দেখানো হয় এবং তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়। মাঠে বারি গম ৩৩ জাতের ফলাফল দেখে উপস্থিত সবাই কৌতুহলী হন এবং আগামীতে এই জাতের বীজ সংরক্ষণ ও চাষ করবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন।