নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণের উদ্দেশ্যে ৩ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রণয়নের সিদ্বান্ত নিয়েছে সরকার। কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য এ টাকা খরচ করা হবে। সরকার কৃষির যান্ত্রিকিকরণে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সহায়তা প্রদান করছে, প্রয়োজনে আরো সহায়তা বাড়ানো হবে।’
মঙ্গলবার (১১ জুন) সচিবালয়ে ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি’র সাথে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি-অনিক র্বুদনি, স্পেনের রাষ্ট্রদূত আলভারো দে সালাস, জার্মানির রাষ্ট্রদূত মাইকেল শ্লুটহাইস এবং ইউরোপীয় মশিন এর কমিউনিটি ডেপুটি চিফ কনস্টান্টিনো ওযার্ডকিসের সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী । বৈঠকে শেষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফ্রিং করেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি ও খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধানের উৎপাদন ও কৃষি মজুরী বেশির কারণে এবারে এই পরস্থিতি সৃষ্টি হয়ছে। ধানের মূল্য নির্ধারণ করা ছিল ২৬ টাকা। দেশের ২শ টি জায়গার ৫ হাজার মে.টন ধারণ ক্ষমতার স্টিলের সাইলো নির্মাণ করা হবে।এ খানে ড্রাই মেশিন থাকবে ধান শুকানোর জন্য। এছাড়া সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে মিল মালিকদের মাধ্যমে চাল তৈরি করে মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করা যায় কিনা তাও দেখা হচ্ছে। সর্বোপরি কৃষকদের কল্যানণ সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিক।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, বোরো ধান নিয়ে সরকার বেশ উদ্বিগ্ন। মূল সমস্যা হলো খাদ্য গুদামের। খাদ্য গুদামের ধারন ক্ষমতা প্রায় ২১ লাখ মে.টন। সরকার ১২ লাখ মে.টন চাল ও দেড় লাখ মে.টন ধান কেনার যে র্কাযক্রম হাতে নিয়েছে তা বাড়িয়ে ধান ক্রয় করা হবে আরো আড়াই লাখ মে.টন সহ মোট ৪ লাখ মে.টন এবং প্রয়োজনে এ পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে । ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে, এখানে সিন্ডিকেটের কোনো কাজ নেই। কৃষি মন্ত্রণালয় ধান/চালরে আর্দ্রতা মাপার জন্য ৩ হাজার মেশিন ক্রয় করতে যাচ্ছে। ফলে কৃষক মিলে চাল নিয়ে যাওয়ার আগে তার ধানের/চালের আর্দ্রতা ঠিক আছে কিনা যেনে নিতে পারবে।
বৈঠকে তারা আসন্ন FAO –এর মহাপরিচালক পদে নির্বাচনে ফ্রান্সের প্রার্থী Geslain-Lanéelle এর পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থনের ব্যাপারে কথা বলেন। এ সময় ব্রেক্সিট নিয়েও কথা হয়। তারা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগি, কৃষির উন্নয়নে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।