শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

বাড়ছে কাঁকড়া-কুচিয়া উৎপাদন ও রপ্তানি আয়

ঢাকা সংবাদদাতা: প্রচলিত মৎস্যজাত পণ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশে অপ্রচলিত মৎস্যপণ্য কাঁকড়া ও কুচিয়ার উৎপাদন এবং রপ্তানি আয়ের পরিমান দিনদিন বেড়েই চলেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মাছ চাষের সাথে-সাথে এসব অপ্রচলিত মৎস্যপণ্যের দিকে ঝুঁকছে খামারিরা। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে দেশের ১০টি জেলা যেমন সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুণা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সর্বমোট ২৫ হাজার ৬৪৩.৪২ মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদিত হয়।

এর মধ্যে ২০১৩ সালে ৩২ হাজার ২৫৫.২ মে. টন, ২০১৪ সালে ২৯ হাজার ১৭৬.৬ মে. টন, ২০১৫ সালে ২৭ হাজার ৩০১.৯ মে.টন ও ২০১৬ সালে ২৫ হাজার ৬৪৩.৪২ মেট্রিক টন কাঁকড়া আহরিত হয়। উৎপাদনের পাশাপাশি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১২ হাজার ৪৯৩.৯৭ মেট্রিক টন কুচিয়া রপ্তানির বিপরীতে আয় হয়েছে ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১২ হাজার ৪৫১.৫৯ টনের বিপরীতে ১৮৩ কোটি ৮৫ লাখ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১২ হাজার ৬৮৫.৯৮২ টনের বিপরীতে ২০৪ কোটি ৪৮ লাখ এবং একই অর্থবছরে ৭ হাজার ২০২.৮০ মেট্রিক টন হিমায়িত ও জীবিত কাঁকড়া রপ্তানির বিপরীতে ৪০৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বৈদেশিক মূদ্রা আয় হয়েছে।

অন্যদিকে মৎস্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণে ৪ বছর মেয়াদী ‘বাংলাদশের নির্বাচিত এলাকায় কুচিয়া ও কাঁকড়ার চাষ এবং গবেষণাপ্রকল্পে’র আওতায় দেশের ৮ বিভাগের ২১জেলার ৩৬টি উপজেলায় কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০১৫-১৭ অর্থবছরে প্রকল্প এলাকার ৮৪৫টি প্রদর্শনী খামারে ১৯২.১৬ মেট্রিক টন কাঁকড়া এবং ২৬৪টি প্রদর্শনী খামারে ৬২.৩৭ মেট্রিক টন কুচিয়া আহরিত হয়েছে। এ সময় উভয়পণ্যের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৬৫.৪৩ মেট্রিক টন নির্ধারিত হলেও উৎপাদিত হয়েছে ২৮১.৫০ মেট্রিক টন। প্রকল্প চলাকালীন ৯৫৬জন উদবুদ্ধকারী চাষীর প্রচেষ্টায় প্রকল্পএলাকায় ১,১৭২টি প্রদর্শনী খামারের ৫ হাজার ৭৫৩ জন নরনারী উপকৃত হন।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের সম্মেলনকক্ষে ‘বাংলাদশের নির্বাচিত এলাকায় কুচিয়া ও কাঁকড়ার চাষ এবং গবেষণা প্রকল্পে’র দিনব্যাপী এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, এম.পি।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রকল্পের কনসাল্টেন্ট ফিলিপাইনের অধিবাসী ড. এমিলিয়া টি কুইনটিনো, প্রকল্প পরিচালক মাসুদা খানম প্রমুখ। প্রতিমন্ত্রী জুলাই-২০১৫ থেকে জুন-২০১৯ পর্যন্ত ৪ বছর মেয়াদি প্রকল্পটি যথাসময়ে সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের সমাপ্তির পর সেসব প্রকল্পের কাজ যাতে বন্ধ না হয় বরং অব্যাহত থাকে, অবশ্যই তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি যথাসময়ে সকল প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে সমাপ্ত করে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

This post has already been read 4085 times!

Check Also

যে জেলায় ইলিশ উৎপাদন হয়, ওই জেলার মানুষ গরিব হতে পারে না -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ভোলা সংবাদদাতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ইলিশের সম্পদ রক্ষায় সবাইকে একসাথে কাজ …