নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘নার্সারী নীতিমালাকে কঠিনভাবে প্রয়োগ করতে হবে। কারণ অনেক সময় নি¤œমানের চারা কলম কিনে ক্রেতা প্রতারিত হয়ে থাকে। বিদেশি ফল চাষের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। কারণ বিদেশ থেকে একটা সায়ন বা একটা ডাল/বীজ নিয়ে এসে এদেশে বিভিন্নভাবে প্রমোট করা হচ্ছে। এটা দেশের জন্য কোনো বিপর্যয় আনবে কিনা, তা নিয়ে গবেষণা করা দরকার। আমাদের গবেষণার মানসম্মত জাত ও সিলেকশন জাতগুলো মাঠ পর্যায়ে প্রসারিত করতে হবে।’
রবিবার (১৬ জুন) ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৯ উপলক্ষ্যে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটোরিয়ামে ‘পরিকল্পিত ফল চাষ যোগাবে পুষ্টি সম্মত খাবার’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ এসব কথা বলেন। শাইখ সিরাজ বলেন, আমাদেরে দেশে ফল চাষ কেমনভাবে বেড়েছে এবং কত ধরনের বৈচিত্র্য রয়েছে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। ফল চাষকে সম্প্রসারণের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা দেয়া জরুরী। রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি কাঠামো এখনি করা দরকার।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) মদন গোপাল সাহা। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এম এনামুল হক এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের এপিএ পুলের সদস্য মো. হামিদুর রহমান।
সেমিনারের আগে আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটরিয়াম চত্বরে ১৬ হতে ১৮ জুন তিন দিনব্যাপি জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন। এসময় কৃষি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ‘পরিকল্পিত ফল চাষ যোগাবে পুষ্টি সম্মত খাবার’ প্রতিপাদ্যে ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৯ উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র্যালি জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা শুরু হয়ে আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটরিয়াম চত্বওে শেষ হয়। জাতীয় ফল মেলায় ৭টি সরকারি ও ৫৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ৮৪টি স্টল রয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকছে।