নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তাই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার জ্ঞানকে কাজে লাগাতে চায় আবুধাবি। মঙ্গলবার (১৮ জুন) কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি’র সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মিস মারিয়ম আলমেইরি নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে গেলে মিস মারিয়ম এসব কথা বলেন।
ড. আব্দুর রাজ্জক প্রতিমন্ত্রীকে তার মন্ত্রণালয় স্বাগত জানান। মিস মারিয়ম আলমেইরি এ সময় বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপন এবং অবকাঠামোর পাশাপাশি কৃষিতেও অং গ্রহণের আগ্রহের কথা জানান।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, এক সময়কার খাদ্য ঘটতির দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ। আমাদের প্রধান ফসল ধান হলেও দেশে এখন গম ও ভুট্টা চাষ হচ্ছে। ভুট্টা আমাদের প্লোট্রি শিল্পের প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এর বড় একটি অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আগামী দু এক বছরে আমাদের চাহিদার প্রায় সবটুকু ভুট্টা উৎপন্ন করতে সক্ষম হবো। বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ফলের প্রচুর উৎপাদন হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু আমাদের কৃষকবৃন্দ উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না । যে কোন পণ্যের উৎপাদন বেশি হলেই এ সমস্যা হয়। এই সমস্যা নিরসনে খাদ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকরণ অপরিহার্য।
মোট কথা, আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষির জন্য বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকীকরণের জন্য যা যা করা দরকার সরকার সব করবে। ২০০১ ও ২০০৭ সালে আইলা ও সিডরে আরব আমিরাত আমাদের সহায়তা করেছে এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানান কৃষি মন্ত্রী।
প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন আরব আমিরাতের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সাইয়েদ মুহম্মদ সাইয়েদ হামেদ আলমেহেরি, অ্যাম্বাসির প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ আলহমউদি, সুমাইয়া সালেম আলোরাইফি, মন্ত্রীর অনুগামী ও মি. আলতাপ, অ্যাম্বাসির অর্থনীতিবিদ।