ঢাকা সংবাদদাতা: উপকূলীয় এলাকায় ফসল আবাদে লবণাক্ততার চেয়েও বড় সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা। এ জলাবদ্ধতার কারণে ফসলি জমিতে লবন পানি জমে থাকার কারণে কৃষিজ উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ক্ষতির পাশাপাশি সামাজিক ক্ষতির দিকটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বুধবার (১৯ জুন) ট্রান্সফার অব টেকনোলজি ফর এগ্রিকালচারাল প্রোডাকশন আন্ডার ব্লুগোল্ড প্রোগ্রাম (ডিএই কম্পোনেন্ট) আয়োজিত রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটরিয়ামের প্রশিক্ষণ হলে উপকূলীয় পোল্ডার অঞ্চলে কৃষির নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তরা বলেন, উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা মোকাবেলায় ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সমন্বিত কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এছাড়াও লবণাক্ততা সহনশীল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে শস্যের বহুমুখিকরণে কৃষকদের প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ক্ষুদ্র আকারে পানি ব্যবস্থাপনা অবকাঠামো নির্মাণ ও সমাজভিত্তিক ফসল উৎপাদনের জন্য পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে দারিদ্র্যতা হ্রাস ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং উপকূলীয় এলাকার জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে বলে উল্লেখ করেন বক্তরা। সেমিনারে বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের
সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক ড. মো.আব্দুল মুঈদ, ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ডস দুতাবাসের ফার্ষ্ট সেক্রেটারী পিটার ডি ভ্রিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রকল্প সমন্বয়কারী পরিচালক মো. আমিরুল হোসেন। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পানি বিজ্ঞানী ড. মনোরঞ্জন কুমার মন্ডল ও প্রকৌশলী মো. জহিরুল হক খান। আলোচক ছিলেন সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের নির্বাহী পরিচালক ওয়াজী উল্লাহ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর।