সিকৃবি প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে পরিবেশ দুষণ। শুধু শহর অঞ্চলে পরিবেশ দূষণের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। তাছাড়া শহরগুলোতে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ সিসা দূষনের ঝুঁকিতে বসবাস করছে যাদের অধিকাংশই শিশু। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে হলে বায়ু দুষণ রোধের বিকল্প নেই।
রবিবার (২৩জুন) সিকৃবি’তে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালী পরবর্তী আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার এসব কথা বলেন।
আলোচনায় সভায় বক্তারা আরো বলেন, বায়ু দূষণের কারণে শিশুদের মেধা ও বুদ্ধিমত্তা হ্রাসের পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় শিশু মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবী ও মানব জাতির বিপর্যয়ের সবচেয়ে নিকটবর্তী কারণ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা আশুপদক্ষেপ না নিলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যেই মানুষ মহাবিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে।
উক্ত র্যালী ও আলোচনা সভায় বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, বায়ুদূষণ প্রতিরোধে অবদানের জন্য এবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থা কর্তৃক কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী প্রফেসর মো. সামিউল আহসান তালুকদার ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিরো’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী প্রফেসর মো. সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং বিভাগের এম.এস. শিক্ষার্থী সুনন্দা দত্তের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০১৯ উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. শারফ উদ্দিন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ, ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ টি এম মাহবুব-ই-এলাহী প্রমুখ।