ঢাকা (২৩ জুলাই) : টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহার ও ফসল উৎপাদনে জৈব প্রযুক্তির ব্যাবহারে ইসলামী শরীয়ায় কোন বিধি নিষেধ নেই বলে এক আলোচনা সভায় মত দিয়েছেন বিশিষ্ট আলেমগণ।
সামাজিক সচেতনতা ও সর্বস্তরে এর গ্রহনযোগ্যতার নিমিত্তে, কৃষি উদ্ভাবন, তথা জৈব প্রযুক্তি ও জিএমও এবং এসব সম্পর্কে সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার গুরুত্ব নিয়ে আয়োজিত সভায় বক্তারা এ বিষয়ে মতামত দেন।
ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ (এফএফবি), দেশের বিশিষ্ট ইসলামি বিশারদ ও চিন্তাবিদদের নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি)-তে ” ইসলামী শরীয়ায় কৃষি বিষয়ক উদ্ভাবন ও কৃষি প্রযুক্তি” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে এফএফবি’র সিইও মো. আরিফ হোসাইন কৃষি প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি পরিবর্তিত পরিবেশে মানিয়ে নিতে এবং বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য খাদ্যের বন্দোবস্ত সহ নানান সব প্রতিকূলতা মোকাবিলায়, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল কিভাবে সাহায্য করতে পারে সে বিষয় আলোকপাত করেন।
অংশগ্রহণকারীরা সম্মত হন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের মত বৈশ্বিক অবস্থা এবং আবাদি জমি কমে যাওয়ার ফলে বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্যের চাহিদা পুরন করতে আধুনিক কৃষিব্যাবস্থা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি-কে গ্রহণ করা সময়ের দাবি।
আলোচনা সভার সভাপতি এবং এফএফবি-এর চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, “আলেম সমাজ কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহার এবং এর প্রয়োজন সম্পরকে জনসাধারণকে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন; যা বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরো বলেন, নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্যতা ও খাদ্যে ভেজাল রোধ করতে সবার একযোগে কাজ করা উচিত।
মুফতি মো সাইফুল ইসলাম, খতিব, মাসজিদ-উত তাকওয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বিজ্ঞান ও ধর্ম পরস্পরবিরোধী কোন বিষয় নয়, কুরআন ও হাদিস-এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী আমরা উল্লেখ করতে চাই যে, ইসলাম আধুনিক কৃষি উদ্ভাবনকে সমর্থন করে’’।
আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন -এর চেয়ারম্যান শাইখ আহমাদুল্লাহ বলেন,‘’ইসলামি শরিয়াহতে জাগতিক সকল বিষয় তথা কৃষি বিজ্ঞানের নতুন উদ্ভাবনগুলোকে হালাল হিসেবে গণ্য করে যদি তা মানব কল্যাণে ব্যবহৃত হয় । ‘’
এই গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামি গবেষক মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ, তিনি বলেন,‘’জৈব প্রযুক্তির মত এই প্রক্রিয়াগুলির সাথে আলেম সমাজের সর্বাত্মক সমর্থন আছে।
সভায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাওলানা আলি হাসান তৈয়ব। ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ এর কর্মকর্তাসহ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন খতিব মাওলানা আ কাহহার; খাতিব, সাদিকুর রহমান আজহারি; মুহাদ্দিত, মাহমুদুল হাসান, খতিব, মো. হেদায়েতুল্লাহ; খতিব, মুস্তাফিজুর রাহমান; খতিব, ড মোঃ আনোয়ার হসসাইন মোল্লা; খতিব, মাওলানা গাজি সানাউল্লাহ রাহমানী; শাইখুল হাদিস, মাওলানা কামরুল ইসলাম রাহমানি; মহদিস, মাওলানা ওবাইদুল্লাহ আল কাফি; মুফতি, মাওলানা জাকারিয়া নুর, মাওলানা মাওলানা আলি হাসান তৈয়ব, মাওলানা আমিন ইকবাল, কনসালট্যাঁন্ট খালিদ সাইফুল্লাহ বখশী।