নিজস্ব প্রতিবেদক: “মাছ চাষে গড়বো দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এ শ্লোগান ও “মৎস্য সেক্টরের সমৃদ্ধি, সুনীল অর্থনীতির অগ্রগতি” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতিবারের মতো এবারও সারা দেশে “মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯” (১৭-২৩ জুলাই) পালিত হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড একোয়াকালচার অনুষদ মঙ্গলবার (২৩ শে জুলাই) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯ পালন করে। এই দিন সকালে অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালি শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ক্যাম্পাসের কৃষি অনুষদ সংলগ্ন পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সেমিনার রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ফিশারিজ এন্ড একোয়াকালচার অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহা্ম্মদ -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম বলেন, বাংলাদেশ মৎস্য সম্পদে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এই সেক্টরের উন্নয়নে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, মৎস্যবিজ্ঞানীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। যেসব গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে সেগুলো মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করলে মৎস্য সেক্টর আরো এগিয়ে যাবে। সকল জলাশয়কে মাছ চাষের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী দিনে বিশ্ব দরবারে দেশের ফিশারিজ সেক্টরের অবস্থান নির্ভর করবে তোমাদের উপর। মেধা, শ্রম, ব্যবহারিক জ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতি প্রভৃতিকে কাজে লাগিয়ে এ দেশের মৎস্য সেক্টরকে তোমরাই এগিয়ে নিবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) রমজান আলী, মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পরিকল্পনা) কাজি ইকবাল আজম, এবং উপপরিচালক খ. মাহবুবুল হক সহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক হাসান আহম্মেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, একোয়াকালচার বিভাগের চেয়াম্যান ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন।
তিনি প্রধান অতিথির জ্ঞাতার্থে ফিশারিজ এন্ড একোয়াকালচার অনুষদের পরিচিতি বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন, দেশ মাছ চাষে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি সমূহ মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে দেশে মাছের উৎপাদন, আহরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, গবেষণা কার্যক্রম ও মৎস্য সম্পদ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সহ দেশের উন্নয়নে মৎস্য সেক্টর অনন্য ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তৃতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ফিশারিজ এন্ড একোয়াকালচার অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর মোট প্রাণিজ আমিষ চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগ মৎস্য সেক্টর পূরণ করে আসছে। দেশের অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থপনা ও যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে এ সেক্টর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।