সোমবার , নভেম্বর ২৫ ২০২৪

কোরবানির চামড়ার দরপতন ছিল সাজানো নাটক –চট্টগ্রাম ক্যাব

কাঁচা চামড়ার প্রকৃত মূল্য প্রাপ্তিতে বাঁধা সৃষ্ঠি, দেশীয় চামড়া শিল্পকে গুটিকয়েক ট্যানারী মালিকদের নিয়ন্ত্রণে নেবার ধারাবাহিক ষডযন্ত্র, স্থানীয় প্রশাসনকে নিরব রাখার কৌশলের কারনে ট্যানারী মালিক ও আড়তদারা পরস্পকে দোষারূপ করে চামড়া শিল্পে নজিবিহীন ধস নেমেছে। সরকার ট্যানারী মালিকদের বিপুল পরিমান ব্যাংক ঋন দিলেও তাঁরা আড়তদারদের কোন অর্থ প্রদান করেনি। আর আড়তদারদের বিপুল বকেয়া বিষয়ে তারা এই বকেয়া আদায়ে কোন আইনী বা প্রশাসনিক প্রতিকার চায়নি। বিষয়টি অনেকটাই সাজানো নাটক ছাড়া কিছু নয়। ফলে বিপুল পরিমান কাঁচা চামড়া অবিক্রিত থেকে গেছে, অনেকেই দাম না পেয়ে মাটি চাপা, রাস্তা, নদী ও ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে।

অন্যদিকে বেসরকারী এতিমখানা ও মাদ্রসাগুলির আয়ের একটি বড় অংশ চামড়া সংগ্রহ ও বিক্রি। ট্যানারী মালিক ও আড়তদারদের এ চক্রান্তের কারণে গরীব ও মিসকিন ও এতিমের হক ধবংসের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্প মারাত্মক হুমকির মূখে পড়তে যাচ্ছে। তাই চামড়ার প্রকৃত মূল্য নিশ্চিত করতে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনিটির পক্ষ থেকে সরকারী উদ্যোগে চামড়া রূপ্তানী করা এবং চামড়ার কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়েছে।

পবিত্র কোরবানীতে ভয়াবহ চামড়া সংকটে সৃষ্ট জঠিলতায় শনিবার (১৭ আগস্ট) এক জরুরি সভায় উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করা হয়। ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চান্দগাঁও সভাপতি মো. জানে আলম, ক্যাব পাঁচলাইশের যুগ্ন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চান্দগাঁও সহ-সভাপতি সেলিম সাজ্জাদ প্রমুখ।

বক্তাগণ অভিযোগ করে বলেন, ট্যানারী মালিকরা আড়তদারদের দোষারোপ করছে, আর আড়তদাররা ট্যানারী মালিকদের দোষারোপ করছে। বিষয়টি অনেকটাই সাজানো সাজানো। যা পবিত্র রমজান ও পুজা-পার্বনের সময় দেখা যায়। পাইকারী বিক্রেতারা খুচরাদের দোষারোপ করে, আর পাইকারীরা খুচরাদের উপর দোষ চাপায়। মধ্যখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজারে আগুনে পুড়ে মানুষ সর্বশান্ত হয়।

বক্তাগণ আরও অভিযোগ করে বলেন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, স্থানীয় প্রশাসন, প্রাণী সম্পদ অফিস ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে দেশীয় গবাদি পশু দিয়ে কোরবানীর নিশ্চিত করতে সফল হলেও চামড়ার প্রকৃত মূল্য নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ নিরব ছিলেন। তাদের নিরবতার সুযোগে ব্যবসায়ীরা সাধারন জনগণকে চামড়ার প্রকৃত মূল্য প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতার সুযোগ পায়।

This post has already been read 2582 times!

Check Also

নরওয়ের সাথে সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক: নরওয়ের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট …