রবিবার , নভেম্বর ২৪ ২০২৪

সুন্দরবনে ৭ ফুট লম্বা মৃত বাঘিনী উদ্ধার

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের চাপড়াখালী এলাকায় একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। বুধবার (২১ আগষ্ট) দুপুরে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘিনীটি লম্বায় সাত ফুট। সেটিকে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কার্যালয়ে আনা হয়েছে। দুজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে মৃত বাঘের ময়না তদন্তের জন্য কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মৃত বাঘিনীটি উদ্ধার হলেও বুধবার দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানায় বন বিভাগ।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ছাপড়াখালী এলাকায় টহলের সময় বনরক্ষীরা বাঘের মৃতদেহটি দেখতে পায়। তবে কি কারণে বাঘটি মারা গেছে তা ময়নাতদন্তের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার দুজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সমন্বয়ে মৃত বাঘটির ময়নাতদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে। মৃত বাঘটির কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করে ঢাকায় বন বিভাগের ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। বাঘটির চামড়া সংরক্ষণসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শরণখোলা রেঞ্জ কার্যালয়ের অভ্যন্তরে মাটিচাপা দেয়া হবে।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান বলেন, পূর্ণবয়স্ক মৃত বাঘিনীর দৈর্ঘ্য প্রায় সাত ফুট। তার দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন না থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। তার দেহের কোথাও পঁচন ধরেনি। বাঘটি খুব বেশি আগে মারা যায়নি। হয়তো মঙ্গলবার মারা গেছে বাঘটি।

এদিকে হঠাৎ করে সুন্দরবনে মৃত বাঘ উদ্ধার হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে। অবাধে এসব কার্যক্রম চলমান থাকায় সেখানকার নদী-খালের পানি বিষযুক্ত থাকে। ফলে শুধু মাছ নয়, অন্যান্য প্রাণির জীবনহানি ঘটে। এর প্রভাবে মারা যেতে পারে বাঘটি। বাঘ মারা যাওয়ার সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

This post has already been read 3952 times!

Check Also

মহিষের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

সাভার সংবাদদাতা: মহিষের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একসময় …