ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার বলেছেন, বর্তমান সরকার সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার মানুষ ও পশু-পাখির সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পুকুর খনন করে দেয়া হবে। এছাড়া বিশেষ করে মোংলা এলাকার নদী ভাঙন রোধসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করছে ।
উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জলবায়ু পরিবর্তনে সক্ষমতা অর্জনে উপকূলীয় অঞ্চলের বিপদাপন্ন সমুদ্রগামী জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন ।
খুলনার মহানগরীর একটি অভিজাত হোটেলে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে কিছু সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে বীমাসহ জেলেদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা ও বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা; সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা; বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করে জেলেদের মাঝে আগাম পূর্বাভাস দেয়া অন্যতম।
সেমিনারে উপমন্ত্রী বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর মান্ধাতা আমলের ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হবে। সুন্দরবনের খালে যারা বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়ানোর সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এ্যান অর্গানাইজেশন ফর সোসিও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (এ্যাওসেড) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আক্তারুজ্জামান এমপি, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সাইফুল রহমান খান, মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক রণজিৎ কুমার পাল এবং খুলনা বন বিভাগের উপ-বন সংরক্ষক কবির হোসেন পাটোয়ারি।
সেমিনারে আলোচক ছিলেন সুন্দরবন একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির এবং সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রি। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ্যাওসেডের নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফীন।সেমিনারে সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, মৎস্যচাষী, মৎস্যজীবী ও মৎস্য জেলেরা অংশ নেন।