নিজস্ব প্রতিবেদক: সারের ব্যবহার পরিমিত এবং পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনতে হবে। অনেক কৃষক সারের সঠিক ব্যবহার না জেনে জমিতে বেশি বেশি সার ব্যবহার করে। যার ফলে সারের নাইট্রোজেন বাতাসে মিশে পরিবেশ দূষণ করে, আবার পানিতে মিশে মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হয়। তাই এর ব্যবহার পরিমিত করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনতে হবে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লেক ক্যাসেল হোটেলে International Nitrogen Management System South Asia Regional Demonstration Workshop এ এসব কথা বলেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি । তিনি বলেন, নাইট্রোজেন সার ব্যবহার ফসলের উৎপাদন ৩০-৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায়। আবার অধিক নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ সার ব্যবহারের ফলে জমির ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, পক্ষান্তরে জমির ঊর্বরতা কমে যায়।
মন্ত্রী বলেন, সরকার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। সরকারের সবার জন্য লক্ষ্য নিরাপদ ও পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চত করা,এর জন্য কৃষদের সচেতন করতে হেব। অধিক সার ব্যবহারের ফলে পরিবেশ ও মানুষের জন্য বিরূপ পতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তা কৃষদের জানাতে হবে। কৃষিকর্মে জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগের মাধ্যমে নাইট্রোজেন সরবরাহ করা হয়। আমাদের কৃষিকর্মের প্রয়োজনে হেক্টরপ্রতি আবাদি জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার অনেক বেশি।
তিনি আরো বলেন, অতীতে ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন মূলত জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমেই মেটানো সম্ভব হতো। কিন্তু আজ তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল, ফলে রসায়নিক পদ্ধতিতে ডাই-নাইট্রোজেন অণু ভেঙে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে রাসায়নিক সার। গাছপালা কার্যত সারের মাত্র অর্ধেক নাইট্রোজেন ব্যবহার করে থাকে আর বাকি অর্ধেক নানা ধরনের বিক্রিয়াক্ষম নাইট্রোজেন অণুতে রূপান্তরিত হয়ে মাটি, পানি ও বাতাসে মিশে যায়। এভাবে বিক্রিয়াক্ষম নাইট্রোজেন দিন দিন বাড়তে থাকে আর শুরু হয় পরিবেশ দূষণের নতুন মাত্রার নাইট্রোজেন দূষণ।
আনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. মো. মিজানুর রহমান,অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড.মার্ক এ সুত্তন,পরিচালক আইএনএমএস; প্রফেসর ড.নান্দুলাল রাঘুরাম ও প্রফেসর ড. তপন কে অধ্যায়,পরিচালক এসএএনসি,নিউদিল্ল্,ভারত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মো. শাজাহান কবীর, মহাপরিচালক, বিরি; ড. মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া, ভিসি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।