শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

৯-৩০ অক্টোবর উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ

‘দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫দিন মৎস্য-আহরণ বন্ধ থাকার ফলাফল ও প্রভাব’ এবং ‘ইলিশের প্রধান প্রজননমৌসুমে মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৯’ শীর্ষক যৌথ ২টি সেমিনার ও নাগরিক সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ‘ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশের নিধনরোধে আগামী ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২দিন প্রতিবছরের ন্যায় যথারীতি সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

এ সময় ইলিশের প্রজননক্ষেত্রের ৪টি পয়েন্ট দ্বারা পরিবেষ্টিত ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার উপকূলীয় এলাকার সকল নদনদীতে এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ৪টি পয়েন্ট হচ্ছে- মীরসরাই ও চট্টগ্রামের মায়ানি, তজুমুদ্দিন ও ভোলার পশ্চিম সৈয়দ আওলিয়া, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজারের উত্তর কুতুবদিয়া এবং কলাপাড়া ও পটুয়াখালীর লতা চাপালী পয়েন্ট। আইনানুযায়ী সারাদেশে ইলিশ মাছের আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে।

সভায় বলা হয়, প্রতিবছর আশ্বিন মাসের প্রথম উদিত চাদেঁর পূর্ণিমার আগের ৪দিন, পরের ১৭দিন এবং পূর্ণিমার দিনসহ মোট ২২দিনের এই নিষেধাজ্ঞা ২০১৭ সাল থেকে জারি রয়েছে। তবে ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ১১দিন এবং ২০১৫ সালে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ১৫দিন। নিষেধাজ্ঞার আইন ভঙ্গ করলে আইনভঙ্গকারী কমপক্ষে  ১ বছর থেকে ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ড দেয়া যাবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপির সভাপতিত্বে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আশিকুল্যা রফিক, মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড ইয়াহিয়া মাহমুদসহ বিভিন্ন মমতস্যজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, জেলে, মৎস্যগবেষক, এনজিও, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, র‍্যাব, বনবিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ এতে বক্তৃতা করেন।

সভায় সামুদ্রিক মৎস্য দফতরের পরিচালক ড মো. আবু হাছানাত ‘সমুদ্রে ৬৫দিন মাছ ধরা বন্ধের ফলাফল ও প্রভাব’ এবং আসন্ন  মা-ইলিশ রক্ষা অভিযান-২০১৯’ বিষয়ে ইলিশ ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী পরিচালক মাসুদ আরা মমি পৃথক-পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বক্তারা সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছধরা বন্ধ থাকায় সকল মাছের সংরক্ষণ, উৎপাদন ও আহরণ বৃদ্ধি পাবার কথা উল্লেখ করে এস ময়ে জেলেদের সরকারি সাহায্যদানসহ তাদের বিভিন্ন সমস্যার চিত্রও তুলে ধরেন ।

প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী দেশের জনগণের পুষ্টিপূরণ, সমুদ্রসম্পদের যথাযথ সংরক্ষণসহ মৎস্য সম্পদবৃদ্ধি এবং মা-ইলশ ও জাটনানিধনের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণসচেতনতা্ সৃষ্টির আহবান জানান। তিনি কারেন্টজালসহ অবৈধভাবে মৎস্যনিধনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার ওপরও জোর দেন।

This post has already been read 2890 times!

Check Also

যে জেলায় ইলিশ উৎপাদন হয়, ওই জেলার মানুষ গরিব হতে পারে না -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ভোলা সংবাদদাতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ইলিশের সম্পদ রক্ষায় সবাইকে একসাথে কাজ …