রবিবার , নভেম্বর ২৪ ২০২৪

“বগুড়া অঞ্চলে নির্বিঘ্নে বোরো ধান চাষে করণীয়”শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI) -এর মহাপরিচালক কৃষি বিজ্ঞানী ড. মো. শাহজাহান কবীর।

বগুড়া সংবাদদাতা: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি-আঞ্চলিক কার্যলয়,সিরাজগঞ্জ এর আয়োজনে “বগুড়া অঞ্চলে নির্বিঘ্নে বোরো ধান চাষে করণীয়”শীর্ষক কর্মশালা বগুড়ার পর্যটন মোটেল, বনানী এর হলরুমে ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি এর মহাপরিচালক কৃষি বিজ্ঞানী ড. মো. শাহজাহান কবীর। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি এর পরিচালক (গবেষণা) ড. তমাল লতা আদিত্য। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ক্রপস উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক, ব্রি এর পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. কৃষ্ণ পদ হালদার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মোহা. কামাল উদ্দীন তালুকদার ও অতিরিক্ত পরিচালক (প্রাক্তন) কৃষিবিদ মো. আরশেদ আলী ।

এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বগুড়া,পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাট জেলার উপপরিচালকগণ, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি’র উপপরিচালক, বিএডিসি’র উপপরিচালক বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাবৃন্দ,উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং নির্বাচিত কৃষক-কৃষানী, সার ও কীটনাষক ডিলারগণ উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিরাজগঞ্জ, ব্রি-আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার এবং প্রধান ড. মো. মোফাজ্জল হোসেন। পর্যাক্রমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বগুড়া, পাবনা,সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাট উপপরিচালকগণের পক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলার বোরো আবাদের বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও করনীয় বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রি এর মহাপরিচালক কৃষি বিজ্ঞানী ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি উন্নয়নে সদা তৎপর থেকে কৃষকদেরকে যাবতীয় উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছেন, এর ধারাবাহিকতা প্রতিটি অঞ্চলে “নির্বিঘœ বোরো ধান চাষে করণীয়” শীর্ষক কর্মশালা পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি- এর উদ্ভাবিত নতুন উচ্চ ফলনশীল ধান জাত ব্রি -৫৮, ব্রি-৮১, ব্রি-৮৯, বি-৯১, চারা রোপন, জীবনকাল,উৎপাদন,চালের পুষ্টিমান সর্ম্পকে প্রযুক্তিগত সম্প্রসারণ বৃদ্ধির লক্ষে কর্মশালায় অংশগ্রহনকারী সকল কর্মকর্তাদের কৃষক মাঠ পার্যয়ে সহায়তা কারার আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন ভাতের বিকল্প নেই, আমারা মাছে ভাতে বাঙলী, ধান ছাড়া ভাত কল্পনা করা যায় না, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করেছি বিধায় এর ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখতে হবে। ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে উচ্চ ফলনশীল ধান জাত উদ্ভাবনে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ক্রপস উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধান উৎপাদন শ্রমিক খরচ কমাতে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতির (যেমন- কম্বাইন হারভেষ্টার, পাউডার থ্রেসার, পাউয়ার টিলার চালিত বীজ বপন যন্ত্র, রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার, রিপার (ধান ও গম কাটার যন্ত্র) সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতির মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ব্যবহারে জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদে আহবান জানান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস, পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. অজাহার আলী, সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. হাবিবুল হক ও জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সুধেন্দ্র নাথ রায় প্রমুখ। উক্ত কর্মশালায় সঞ্চলন করেন বগুড়া জেলার ধনুট উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো.জাহাঙ্গীর আলম।

This post has already been read 2876 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …