কুষ্টিয়া সংবাদদাতা: কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ‘নাবী পাট বীজ’ উৎপাদন, বপণ প্রনালী, পরিচর্যা ইত্যাদি বিষয়ক কলাকৌশল উপজেলার ধর্মদহ গ্রামে পাট বীজ উৎপাদনকারী কৃষকদের অবহিতকরণ বিষয়ে এক মাঠ দিবস বুধবার (৩০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়।
নিজেদের উৎপাদিত বীজ দ্বারা চাহিদা পূরণ করাই ছিল মূলত এ মাঠ দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য। দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ কে এম কামরুজ্জামান -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্টিয়াস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামানিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. সজিব আল মারুফ এবং কৃষি তথ্য সার্ভিস আঞ্চলিক অফিস পাবনার কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে কৃষিবিদ মো. সজিব আল মারুফ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ বিতরণ প্রকল্পে উদেশ্য এবং নাবী পাট বীজ উৎপাদন,বপণ প্রনালী, পরিচর্যা ইত্যাদি চাষাবাদ বিষয়ক কলাকৌশল তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামানিক বলেন, পাট উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশকে সোনালী আশেঁর দেশ বলা হয়। পাট প্রধান অর্থকারী ফসল হিসাবে আমাদের দেশর দোঁআশ মাটি উত্তম রুপে চাষ ও মই দিয়ে এ মাটিতেই পাট বীজ উৎপাদন করা সম্ভব এবং তার প্রকৃষ্ট প্রমান দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ পাট বীজ উৎপাদনকারী দল।
তিনি প্রতারক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বীজ কিনে প্রতারিত না হওয়া এবং মৌসুমের সময় বেশী দামে ভেজাল বীজ না কেনার আহবান জানান সকলকে। তিনি সকল কৃষককে নাবী পাট বীজ উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা নিজেদেরই মেটানোর অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ এ কে এম কামরুজ্জামান বলেন, অক্টোবরের শুরুতে এই নাবী পাট বীজ বুনে বিশেষ পরিচর্যার মাধ্যেমে সহজেই বীজ উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা পূরণ করা যায়। অন্যদের মধ্যে বীজ উৎপাদনকারী দলের কৃষক প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকতা বক্তব্য রাখেন।