টাঙ্গাইল সংবাদদাতা: মধুপুর অঞ্চলের পাহাড়ে উচ্চ মুল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কৃষি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। হাজার বছর ধরে বসবাসকারী নৃগোষ্ঠীর জমি নিয়ে কোনো চক্রান্ত বরদাস্ত করা হবে না। সমগ্র জেলার আপামর জনগণ এই চক্রান্ত রোধ করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন সময় যুদ্ধকলীন সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছে তারা। তারা এ দেশের সন্তান, দেশের স্বাধীনতায় তাদেরও ভূমিকা ছিল। মধুপুরে একটি নৃতাত্বিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা হবে।
শনিবার (৯ অক্টোবর) কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি মধুপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে বৃহত্তর ময়মনসিংহ নৃতাত্বিক জনউৎসব ২০১৯ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে এই ধরনের উৎসব সৌহার্দ্য সম্প্রীতির এক বিশাল মেলবন্ধন রচনা করবে। প্রয়োজন আর্থ সামাজিক উন্নয়ন যা ইতোমধ্যে সরকার করে যাচ্ছে। এই অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে এবং হবে। জেলাতে ইপিজেড এর জন্য ইতোমধ্যে ২হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, এখানে শিক্ষিত সব জাতি গোষ্ঠীর যুবাদের কর্মসংস্থান হবে। তাই সন্তানদের শিক্ষিত করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়তে হবে। তাদের দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রাচীনকাল হতে একটি সমৃদ্ধ জনগোষ্ঠী হিসেবে এ অঞ্চল গৌরব-উজ্জল ভূমিকা পালন করে আসছে। এদের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করে তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রেখে এগিয়ে নিতে হবে। গারো পাহার সংলগ্ন এলাকা এবং মধুপুর অঞ্চলে বাস করছে নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী। তদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি ও সত্ত্বা। বহুমাত্রিক ভাষা ও বর্ণবৈচিত্রে আদি অঞ্চলের সাহিত্য সংস্কৃতিকে বিকশিত করেছে। এদের স্বকীয়তা জাতীয় পর্যায় তুলে ধরার লক্ষ্যে আজকের আয়োজন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বায়ক মো. আবুল কালাজ আজাদ -এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন; নৌ সচিব, আব্দুস সামাদ। এছাড়া আরো ছিলেন কবি নজরুল বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এইচ.এম. মোস্তাফিজুর রহমান; বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য্য ড. কামরুল ইসলাম খান, জেলা প্রশাসক সহিদুল ইসলাম;উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র।