পাবনা সংবাদদাতা: ফলই বল, বলই শক্তি, খাদ্য-পুষ্টি ও শক্তির অন্যতম উৎস হচ্ছে ফল। শরীরকে সুস্থ্য ও কর্মক্ষম রাখার জন্য প্রতিদিন ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আর প্রতিদিন ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়তে হলে নিজেদের বসতবাড়িতে স্বল্প পরিসরে হলেও যে কোন ধরনের ফল গাছ রোপনের দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। এই উদ্দেশ্যকে সফল করতে পাবনাস্থ টেবুনিয়া হটিকালচার সেন্টারের উদ্যেগে বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্ঠি উন্নয়ন প্রকল্পের অওতায় (২০১৯-২০অর্থ বছর) গত ৫ নভেম্বর থেকে ১০ দিনব্যাপী পর্যায়ক্রমে শুরু হয়েছে বসতবাড়িতে ফল উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ।
দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে ফল গাছ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল, বসতবাড়িতে ফল উৎপাদন প্রযুক্তি, পারিবারিক পুষ্টি উন্নয়নে ফলের ব্যবহার ও ফল গাছ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল ইত্যাদি মূল বিষয়গুলো ছাড়াও নিরাপদ খাদ্য এবং মানবদেহের জন্য পুষ্টির প্রধান প্রধান উৎস্য সমূহ, বসতবাড়িতে বিদ্যমান ফল গাছের পরিচর্যা, লিচু, নারিকেলসহ বসতবাড়িতে বিদ্যমান ফল গাছের সার ও সেচ ব্যবস্থাপনা, ফল গাছের ট্রেনিং, প্রুনিং, ফল ছাটাই ও মালচিং,শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি রক্ষায় উদ্যান ফসলের সম্পূরক খাদ্য তৈরির কৌশল ইত্যাকার বিষয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনা জেলার উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. আজাহার আলী, পাবনাস্থ টেবুনিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ কে.জে.এম. আব্দুল আউয়াল, এটিআই ঈশ্বরদীর উপাধ্যাক্ষ কৃষিবিদ মো. সাজদার রহমান, মূখ্য প্রশিক্ষক কৃষিবিদ মো. সাইদ হাসান, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাসুম বিল্লাহ ও সহ: উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রমুখ।
টেবুনিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের প্রশিক্ষণ হলরুমে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণে সদর উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩০ জন করে ৪টি ব্যাচে মোট ১২০ জন কৃষক/কৃষানী অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ আগামী ১৪ নভেম্বর শেষ হবে বলে টেবুনিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের ডিডি কৃষিবিদ কেজেএম আব্দুল আউয়াল জানান।