ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : পরিবহন শ্রমিকদের লাগাতার ধর্মঘটে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মোংলা বন্দরে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। আর এই স্থবিরতা কারণে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার । বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় মোংলা বন্দর জেটি থেকে কোন আমদানি পণ্য খালাস হতে পারছেনা। অপরদিকে এই বন্দরে প্রবেশ করতে পারছেনা রপ্তানিযোগ্য কোন পণ্য। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অনেক রপ্তানি শিল্প পড়ছে বিপাকে। ভোগান্তিতে পড়েছে বন্দর ব্যবহারকারীরা। পণ্য পরিবহণ ধর্মঘটে মোংলা বন্দর শিল্প এলাকার ২০টি এলপিজি প্রতিষ্ঠান, ৫টি বড় সিমেন্ট ফ্যাক্টরীসহ মোংলা ইপিজেডের রপ্তানিমুখি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য পরিবহণ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগ বলেন, সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে মোংলা বন্দর জেটি থেকে সড়কপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহণ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বন্দরকেন্দ্রিক দৈনিক আয়ের শ্রমজীবিদের পরিবারে পড়ছে বিরুপ প্রভাব । তারা দিন আনে দিন খায় কিন্ত ধর্মঘটে তাদের সেই আয়ের পথ বন্ধ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
মোংলা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মাহাবুবুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ট্রাক-ট্রলি চলাচল বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে। তবে ইপিজেডের সকল কলকারখানায় কাজ চলছে।
এছাড়া বুধবার তৃতীয় দিনের মত মোংলা-খুলনা, মোংলা-রুপসা, মোংলা-বাগেরহাটসহ সকল রুটে যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তী এখন চরমে পৌঁছেছে।
ট্রাক চালক আ. বারেক বলেন, নতুন সড়ক আইনে ৫ লাখ টাকা জরিমানার যে বিধান করা হয়েছে তা আমরা মানিনা। এ আইন মেনে গাড়ী চালানো সম্ভব না। তাই আমরা গাড়ী বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছি এবং আইন সংশোধন করার দাবী জানাচ্ছি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপরে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে খুলনা জেলা প্রশাসকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই পক্ষের বৈঠকে চলমান পরিবহন ধর্মঘট আজ বুধবার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা। আজ সকাল থেকে কোন পরিবহন না চলায় গতকালের বৈঠকের সেই সিদ্ধান্ত ভেস্তে গেছে।