ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : সাতক্ষীরার তালায় উপজেলার খলিশখালী সরকারি খালে উপর স্থায়ী জলাবদ্ধতা সুষ্টি, ভেড়ি বাঁধ নির্মাণ করে বয়ারডাঙ্গা বিলে মৎস্য চাষ করে আসছে দখলদারীরা। যার কারণে কুষকরা বীজতলা তৈরি বীজ ফেলতে পারছেনা না। এর ফলে ঐ বিলে প্রায় আড়াই হাজার বিঘা জমিতে চলতি ইরি বোরো মৌসুম আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। খাল থেকে অবৈধ দখলদারীদের নেটপাটা অপসরন বাঁধ ও উচ্ছেদের দাবীতে স্থানীয় গ্রামবাসীর পক্ষে আব্দুল মজিদ গোলদার বাদী হয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সুত্রে জানা যায়, তালা উপজেলার খলিষখালী গ্রামের মৌজায় ২০০৪ ,৫১, ৭৩, ৪০৯৯, ৪১০৯, ১৬০৪৮, ১৬৯৫১ দাগের কৈখালী গ্রামের মৃত আরশাদ আলীর পুত্র জাকির শেখ, টিকারামপুরে আমুর সরদার পুত্র মিনারুল সরদার, বয়ারডাঙ্গায় মোহর আলী মোড়লের পুত্র হেকমত মোড়ল, একই গ্রামের বৃঞ্চি মন্ডলের পুত্র নির্মল মন্ডল, ঘোনা গ্রামে রাজ্জাক, খলিশখালী ন্যালদী মোড়লের পুত্র নুর আলী (মাষ্টার), একই গ্রামের মুত নুর আলী’র পুত্র হালিম মোড়লরা ঘাটের খাল,দোয়ানে খাল,বারাখাল ও আমেরী খালে অবৈধ ভেড়ি বাঁধ ও নেট পাটা দিয়ে মৎস্য চাষ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে আসছে।ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে কয়েক হাজার কৃষক ।
জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক,তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালের উপর অবৈধ নেটপাটা অপসারনে তালার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে সুষ্ট তদন্ত পূর্বক দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল মজিদ গোলদার, শহিদুল গাজী, কাদের সরদার, আব্দুল মজিদ গাজী, জব্বার গাজী, পরিমল মন্ডল, অমল মন্ডলসহ অনেকেই জানান, জেলা ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশের পরেও খলিষখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা অরুন কুমার পাল নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ দখলদারীদের পক্ষ নিয়েছে। ফলে আসন্ন ইরি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরী করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার কৃষকরা।
কৃষকরা বলেন, এ মুহূর্তে পানি নিস্কাশন করতে না পারলে বয়ারডাঙ্গা বিলে প্রায় আড়াই হাজার বিঘার মত জমিতে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে আবাদ করতে পারবে না কৃষকরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এলাকার কৃষক ও তাদের পরিবার।
এদিকে গতকাল (বুধবার) অবৈধ দখলদারীদের উচ্ছেদের দাবীতে খলিষখালী ভূমি অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে এলাকার শত শত কৃষক। এসময় খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সেখানে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। এসময় তিনি খলিষখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার কাছে দ্রুত নেটপাটা অপসারনে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। এক পর্যায়ে তালা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার রবিউল ইসলাম অবৈধ বাঁধ নির্মানকারীদের নোটিশ প্রদান করেন এবং বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার আশ্বাস দেন।