টাঙ্গাইল : দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশ যেমন এগিয়ে যাবে, তেমনি দেশের উন্নয়নে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও নারী- পুরুষের অবদান দৃষ্টিগোচর হবে- যা ইতোমধ্যে চোখে পড়ার মতো। কাজেই যেকোনো উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নারী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা জাতি গঠনের শুধু মূল স্তম্ভই নয়, শিক্ষার মাধ্যমে একটি জাতি উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপি সরকারি কুমুদিনি কলেজের ৭৫ বর্ষপূর্তি ও পুনর্মিলনী-২০১৯ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নারী উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খাদ্য ঘাটতির দেশকে এনে দিয়েছেন খাদ্য রপ্তানির মর্যাদা। বছরের প্রথম দিন সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয় বিনামুল্যে বই,যা বিশ্বে বিরল। একজন পুরুষকে শিক্ষা দেওয়া মানে একজন ব্যক্তিকে শিক্ষিত করা। আর একজন নারীকে শিক্ষিত করে দেওয়া মানে গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা। নারী জন সমষ্টি প্রায় অর্ধেক। আর নারীদের শিক্ষার বাইরে রেখে সমাজকে এগিয়ে নেওয়া প্রায় অসম্ভব।
তিনি বলেন, তাই নারী পুরুষ উভয়কেই সু-শিক্ষিত না করে এবং সঠিক কর্মস্থান প্রদান না করতে পারলে জাতীয় উন্নয়ন অগ্রগতি ও কল্যান অসম্ভব। বিরাট জনগোষ্ঠিকে স্বাবলম্বী করতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, স্বাস্থ্য সচেতনতা, সামাজিক অধিকার ও করনীয় সম্পর্কে সমাজের যুগপোযোগী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষায় অনেক এগিয়েছে। এখন অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে গুনগত শিক্ষা। সরকার অনেক নতু নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছে, যুগপোযোগী শিক্ষার জন্যও কাজ করছে।বাংলাদেশের শিক্ষার সাফল্যের পিছনে বাংলাদেশের সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও রাজনৈতিক অঙ্গিকার ছিল অগ্রগন্য। গত এগার বছরে বাংলাদেশে সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে আসছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিতের হার বাড়ছে। ফলে বাল্য বিবাহ, মার্তমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমছে । আজ নারীসমাজ অন্ধঅনুকরণ থেকে মুক্ত। সব ধরনের জড়তা, কুসংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনসত্তা ও একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠার নিরন্তন সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এ সংগ্রামে তারা অনেকটাই জয়ী। আজ নারী বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে আপন মহিমায় ভাস্বর।
দানবির রণদা প্রসাদ সাহার দেশ প্রেমের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের মেয়েরা দেশ সেবা করবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, তানভির হাসান ছোট মনির, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল মান্নান ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নারী শিক্ষা গ্রহনের জন্যে আদর্শ বিদ্যাপিঠ সরকারি কুমুদিনী কলেজ নারী জাগরনের পথিকৃত। নারী শিক্ষা প্রসারে বিখ্যাত সমাজসেবক এবং দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ১৯৪৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।