নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি, পোল্ট্রি এবং ডেইরিকে বাণিজ্যিকিকরণ করতে চায় সরকার এবং এজন্য জাপানের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. নওকি ইতোকে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি। রাষ্ট্রদূত কৃষি মন্ত্রীর দফতরে দেখা করতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রদূতকে কৃষি মন্ত্রী জানান, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে দেশের কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকিকরণ ও বহুমুখীকরণ করা হবে।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র এবং শিশু মাতৃমৃত্যু হার কমেছে, অন্যদিকে বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু। কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য খাদ্য ঘাটতির দেশটি আজ খাদ্য রপ্তানির মর্যাদা অর্জন করেছে। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি উপযোগিত করার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের দুর্দিনে যেসব দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে এগিয়ে এসেছে জাপানের স্থান সবার ওপরে। বাংলাদেশের জনগণ জাপানের সরকার ও জনগণকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে সবসময়। কৃষিবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষি উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে ডিএপি সারের মূল্য হ্রাস করেছে। বাণিজ্যিক ফুল চাষের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে যশোর জেলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাষকৃত ফুলবাগান পরিদর্শনের আহবান জানালে জাপানের রাষ্ট্রদূত তাতে সম্মতি জানান।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। একটি আদর্শ শিল্প প্রতিষ্ঠান করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা নিশ্চিত করবে সরকার, তার ১শ টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে। জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে, অংশীদারিত্ব গড়ে তুলছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিবিড় করেছে। দেশের সকল সার কারখানায় জাপানের সহযোগিতা রয়েছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, এ টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সরকারি কোষাগার থেকে আসবে ৫ হাজার কোটি টাকা। আর বাকি অর্থ আসবে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে। জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসং একটি কনসোর্টিয়াম হিসেবে টার্মিনালের নির্মাণকাজ করবে। ১৯৭৩ সালে কৃষিখাতে আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে বাংলাদেশে প্রথম কাজ করে জাইকা।