সাভার সংবাদদাতা: আমরা মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ । কিন্তু মাংস, ডিম এবং দুধ উৎপাদনে এখনও পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি নাই। তবে দেশে সীমিত আকারে মাংস আমদানি এখনো হচ্ছে। আমাদের গ্রামের বৃহৎ-প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং স্বল্প আয়ের মানুষের মাথাপিছু প্রাণিজ আমিষের চাহিদা এখনো পূরণ হয় নাই। সেজন্য গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাতের গাভী, ষাঁড়, ছাগল, ভেড়া এবং মুরগি উদ্ভাবন করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সাভারস্থ বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর সম্মেলন কক্ষে দুইদিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০১৯ -এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, এমপি এসব কথা বলেন। আমাদের উৎপাদন আরো বাড়লে মাংস আমদানি একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে -যোগ করেন তিনি।
দেশে এখনো মাছ আমদানি হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফলে মিয়ানমার, ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে মাছ আমদানি বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এ দেশের উপযোগী প্রযুক্তি নিয়ে আসা হচ্ছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রাহমা গরুর জাত এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ভেড়ার উন্নত জাত নিয়ে আসা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সদস্য (সচিব) মো. জাকির হোসেন আকন্দ।
সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, আমাদের খাদ্যাভ্যসে মাংস, ডিম প্রভৃতি প্রাণিজ আমিষের চাহিদা বাড়বে। মাথাপিছু প্রাণিজ আমিষের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাবে। সেজন্য প্রাণিসম্পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত যেখানে একটি সময়োপযোগী ইনোভেশন পুরো দেশের চেহারা বদলে দিতে পারে। ফলে এসব খাতে গবেষণা বাড়াতে হবে। তিনি আরো জানান, গবেষণা প্রস্তাবগুলো বাস্তবভিত্তিক এবং প্রয়োগযোগ্য হলে অর্থায়নের কোন সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার এবং বিএলআরআই এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আজহারুল আমিন।