ডেস্ক রিপোর্ট : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি আমান ফিড লিমিটেড -এর প্রত্যেক পরিচালককে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি), অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন বৈঠকে এই জরিমানা করা হয়। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আলোচিত ব্যক্তিরা হচ্ছেন আমান ফিড লিমিটেডের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম, পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম এবং তরিকুল ইসলাম। তাদেরকে মোট এক কোটি টাকা জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
কোম্পানিতে মো. আজিজুল হক নামে একজন মনোনীত পরিচালক থাকলেও তাকে অবশ্য জরিমানা করা হয়নি। তিনি পর্ষদে আমান ফিডের উদ্যোক্তাদের মালিকানাধীন আমান এগ্রো নামের অন্য একটি কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করছেন।
জানা যায়, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বড় ধরনের আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে । কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা তুলে সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি। নির্ধারিত খাতে টাকা ব্যয় না করে বিএসইসির কাছে মিথ্যা প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, আমান ফিড লিমিটেড ২০১৫ সালে আইপিও ইস্যু করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৭২ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানিটি আইপিওতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারে ২৬ টাকা করে প্রিমিয়াম নিয়ে ৩৬ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করে।
বিধি অনুসারে, আইপিওর টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হবে তা প্রসপেক্টাসে উল্লেখ করতে হয়। কোনো কারণে ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় পরিবর্তন এলে বা অন্য কোনো খাতে বিনিয়োগ করতে চাইলে সাধারণ সভা ডেকে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি ও বিএসইসির অনুমতি নিতে হয়। এছাড়া আইপিওর অর্থ ব্যবহারের হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে নিয়মিতভাবে বিএসইসিতে প্রতিবেদন পাঠাতে হয়। ওই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টের মাধ্যমে সত্যায়ান করতে হয়। আমান ফিড কর্তৃপক্ষ অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার না করে বিএসইসিকে মিথ্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে।
আইপিও’র অর্থ ব্যবহারে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় বিএসইসি আমান ফিডের সব পরিচালককে (স্বতন্ত্র ও মনোনীত ব্যাতিত) ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করে।
এছাড়া আইপিওর অর্থ ব্যবহার সংক্রান্ত মিথ্যা প্রতিবেদনের সঙ্গে যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়ায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান একনাবিন এর পার্টনার রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি।