চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: ভোক্তা হিসেবে জনগণ প্রতিনিয়তই ঠকছে ও প্রতারিত হচ্ছে। এই প্রতারনার আওতায় ওজনে কারচুপি, খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ, শাকসবজি ফলমূলে হরেক রকমের ক্যামিকেল মিশ্রণ, অপরিস্কার পরিবেশে রান্না ও পরিবেশন, নকল ও মানহীন পণ্য অন্যতম। বিষয়গুলি প্রতিকারে সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ প্রণয়ন করেছেন। কিন্তু সাধারণ ভোক্তাদের অসচেতনতা, বিষয়টিকে নিয়তির লিখন ও বাস্তবতা বলে মেনে নেবার কারণে সরকারের এই যুগান্তকারী আইনের সুফল সেভাবে কাজে আসছে না। সেকারনে তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে অভিযোগ দাখিল ও নিস্পত্তি বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্ঠিতে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে গত ২৫জানুয়ারি নগরীর ৪নং চান্দগাও ওয়ার্ড কাউন্সিল এর সভাকক্ষে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ০৪ নং চান্দগাও ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন খালেদের সভাপতিত্বে ও ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান। আলোচনায় অংশনেন ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহ্জ্বা আবদুল মান্নান, ক্যাব চান্দগাঁও থানার সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, সহ-সভাপতি সেলিম সাজ্জাদ, ক্যাব পাঁচলাইশ থানার যুগ্ন-সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, বিভুতি রঞ্জন বড়ুয়া, রুবি খান, চান্দগাঁও এলাকার শওকত হোসেন, রাজু ধর, ক্যাব কর্মকর্তা তাজমুন নাহার হামিদ, শম্পা কে নাহার ও জেড এইচ শিহাব প্রমুখ।
মাল্টি মিডিয়া উপস্থাপনায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযোগ কিভাবে দাখিল করা যাবে এবং এর পরবর্তী করনীয় কী, সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সভায় আরও বলা হয় খাদ্যে ভেজাল ও ভোক্তা অধিকারের যে কোন বিষয়ে অধিকার ক্ষুন্ন হলে আইনী প্রতিকারের জন্য সরকারের হটলাইন ৩৩৩ এবং প্রয়োজনে স্থানীয় ক্যাব কমিটির কাছেও অভিযোগ দাখিল করা যাবে।