নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে কফি রপ্তানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া। মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিয়োজিত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি সুমারনো কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে মন্ত্রণালয় তার নিজ অফিসে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা ব্যাক্ত করেন। কৃষিমন্ত্রী বিভিন্ন বাংলাদেশে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলের বৈদেশিক বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং ইন্দোনেশিয়ার উদ্যোক্তাদের কৃষিখাতসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে আহবান জানান। এ সময় রাষ্ট্রদূত কার্যালয়ের ২য় সচিব Mr. Aidil Khairunsyah (আইডিল খায়রুনসিয়া) উপস্থিত ছিলেন।
রাস্ট্রদূত বলেন, চাল ও আলুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ ইন্দোনেশিয়া। ২০১৮ সাল হতে তাদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩০০ গুণ। ঐ বছর হতে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি। ইন্দোনেশিয়ার জনগণের খাদ্যভ্যাস বাংলাদেশের মতো তারা তিন বেলা ভাত খায়। দেশটি শাক-সবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পুর্ণ এবং কিছু পরিমান রপ্তানি করে থাকে। এছাড়া খুব ভালো মানের কফি উৎপন্ন করে থাকে এবং বাংলাদেশে কফি রপ্তানি করতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া।
তিনি বলেন, দেশটির ২০১৮ সালে মোট রপ্তানি করে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; আর শুধু কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি করেছে ৩০ করেছে বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ফুল রপ্তানি করে মাসে ২দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। ইন্দোনেশিয়া ফার্মাসিউটিক্যালস এ বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে চায়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। বিশ্বের অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষ ইন্দোনেশিয়া ও তার জনগণের প্রতি খুবই ইতিবাচক ধারণা পোষণ করে। বাংলাদেশও গত দুই দশকের চেয়ে এখন অনেক বেশি এগিয়ে আছে। আসিয়ানের নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগও বাংলাদেশের জন্য বড় সহায়ক হতে পারে। বাংলাদেশেও বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূত কৃষিমন্ত্রীকে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমনের আমন্ত্রণ জানান।